ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আশঙ্কায় তটস্থ পশ্চিমবঙ্গ, বেঁধে ফেলা হলো ট্রেন
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দিকে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’। এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধির ওপর এখন থেকেই নজর রাখছে আবহাওয়াবিদরা। ইয়াসের গতিবিধির প্রতি সেকেন্ডের খবর নথিবন্দি করছেন তাঁরা।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা রাজ্য। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে তাকতের পর ইয়াস হলো দ্বিতীয় ঘূর্ণিঝড়। এরই মধ্যে তাকতে গুজরাট উপকূলে আঘাত হেনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি ঘটিয়েছে। ফলে এবার ঘূর্ণিঝড় ইয়াসকে নিয়ে চিন্তা বাড়ছে আবহাওয়াবিদদের।
আবহাওয়া অফিস সূত্র বলছে, আগামী ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা ও পারাদ্বীপের মধ্যবর্তী কোনও একটি স্থানে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। আগামী সোমবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে শুরু হতে পারে বৃষ্টি। সেইসঙ্গে বইতে পারে ঝড়ো হাওয়া।
সোমবারের পর থেকে যত সময় গড়াবে ততোই বৃষ্টি ও ঝড়ের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলায় জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকদিন আগে থাকেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং করে ইয়াসের ভয়াবহতা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে। এলাকার বাসিন্দাদের ঝড়ের আগেই নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
এবার কলকাতা শহর ও সংলগ্ন এলাকাগুলোতে মাইকিং করে ইয়াসের ভয়াবহতা নিয়ে প্রচার চালানো হচ্ছে রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে।
অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব থেকে ট্রেনকে বাঁচাতে পশ্চিমবঙ্গের ট্রেনগুলোকে লাইনের সঙ্গে বেঁধে রাখা হচ্ছে। করোনার কারণে ট্রেন পরিষেবা বন্ধ থাকলেও একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন চালু রয়েছে। ফলে পূর্ব রেলের তরফে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় ট্রেনের বগিগুলোকে লাইনের সঙ্গে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে।
রেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে করোনার কারণে লোকাল ট্রেন না চললেও বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। তবে সেই এক্সপ্রেস ট্রেন ঝড়ের গতিবিধি বুঝেই চালানো হবে। পাশাপাশি রেলের সব হাসপাতালকে সতর্ক করা হয়েছে। সবরকম প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে রিলিফ ট্রেনও। ঝড়ের সময় রেলের ওভারহেডে গাছ ভেঙে পড়লে যাতে দ্রুত সেই গাছ সরিয়ে ফেলা যায় তার প্রস্তুতিও নিয়ে রাখা হয়েছে।