করোনা রোগীর সংখ্যা কমার দাবি চীনের, সন্দিহান ডব্লিউএইচও
চীন দাবি করেছে, পরপর তিন দিন নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা কমেছে।
চীনা কর্মকর্তারা আজ রোববার নতুন দুই হাজার নয়জন নতুন রোগীর খবর দিয়েছেন, যে সংখ্যা কয়েকদিন আগের তুলনায় অনেক কম।
নতুন করে মারা গেছেন ১৪২ জন। কদিন আগেও প্রতিদিন নতুন করে আক্রান্ত মানুষের যে সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছিল তা চরম ভীতি তৈরি করেছিল।
গত বৃহস্পতিবার একদিনেই ১৪ হাজার নতুন রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়। সেই তুলনায় আজকের (রোববার) দেওয়া আক্রান্তের সংখ্যাটি কিছুটা স্বস্তির।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলছে, রোববারের নতুন রোগীর সংখ্যা প্রমাণ করছে যে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপগুলো কাজে দিচ্ছে। মিউনিখে নিরাপত্তা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে শনিবার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে আছে।
তবে চীন সরকার সাফল্যের দাবি করলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনো সন্দিহান। মিউনিখে ওই একই সম্মেলনে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস আধানোম গ্রেবিয়েসাস জানান, করোনাভাইরাস মহামারি কোন দিকে যাবে তা ধারণা করা এখনো অসম্ভব।
চীন কোন পক্রিয়া অনুসরণ করে এই রোগ শনাক্ত করছে, তার বিস্তারিত জানতে চেয়েছে ডব্লিউএইচও। এই সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ দলকে চীনে পাঠানো হচ্ছে, খবর বিবিসি।
এদিকে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসার দাবি করলেও স্বাভাবিক জীবন যাপনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরো কঠোর করেছে চীন সরকার। যেখান থেকে করোনাভাইরাস প্রথম ছড়িয়েছে, সেই হুবেই প্রদেশের কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন যেন বাড়ির বাইরে না যায়।
খাবার ও অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে যাতে তাদের দোকানে না যেতে হয়। শহরটিতে প্রাইভেট কার আপাতত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হুবেই এর রাজধানী শহর উহান এখনো কার্যত অবরুদ্ধ।
শুধু হুবেই নয়, চীনজুড়ে কোটি কোটি মানুষ এখন নানা মাত্রার বিধিনিষেধের মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
চীনে এখন পর্যন্ত ৬৮ হাজারেরও বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছে ১৬৬৫ জন।