করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজার ৮৮৬ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে সাত লাখ ৯০ হাজার ৩৪২ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এক লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৮ জন। নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।

এরই মধ্যে প্রাণহানিতে শীর্ষে থাকা ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৬৬০ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে এক লাখ ছাড়িয়েছে। অন্যদিকে, স্পেনের পরিস্থিতিও বরাবরের মতো খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশটিতে মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ৭১৬ জনে পৌঁছেছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে ৮৭ হাজার ৯৫৬ জন।

এদিকে, করোনার সংক্রমণে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। মারাও যাচ্ছে অনেকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে তিন হাজার ১৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ ৬৪ হাজার মানুষ। এর মধ্যে নিউইয়র্কের পরিস্থিতি সবচে খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশটির শীর্ষ স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, পরিস্থিতি যদি অপরিবর্তিত থাকে, তবে যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় এক থেকে দুই লাখ মানুষের মৃত্যু হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ড. অ্যান্থনি ফসি বলেছেন, ‘আমরা প্রাণহাণির সম্ভাব্যতা নিয়ে যে তথ্য দিয়েছি, তা পুরোপুরি গবেষণালব্ধ তথ্য। আমরা যদি এখন থেকে কার্যকর সিদ্ধান্ত নিতে না পারি, তাহলে মৃতের সংখ্যা আমাদের অনুমানের কাছাকাছি গিয়ে পৌঁছাবে, এটা নিশ্চিত। তবে এটা হতে দেওয়া যাবে না।’

এমন আশঙ্কা থেকেই সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক বিচ্ছিন্নকরণ অনুসরণের অনুশাসন ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুক্তরাজ্যেও ভয়াবহ আকারে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। আক্রান্তদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে ২০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও সেবিকা আবারও তাদের চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

এদিকে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে চার ঘণ্টার নোটিশে ভারত সরকারের ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণায় চরম বিপাকে শ্রমজীবীরা। উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে যারা দিল্লিতে গিয়ে দিনমজুরের কাজ করতেন, হুট করে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অভুক্ত অবস্থায় শতশত মাইল হেঁটে। তবে এরই মধ্যে ভারতের মন্ত্রী পরিষদ সচিব জানিয়েছেন, সামনে আর কোনো লকডাউন দেওয়া হচ্ছে না।