করোনায় চরম দারিদ্র্যের শঙ্কায় সাড়ে ১১ কোটি মানুষ
বিশ্বব্যাংক সতর্ক করে বলেছে, মহামারি নভেল করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ার কারণে এ বছর সাড়ে ১১ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়তে পারে। সংবাদ সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
বিশ্বব্যাংক এর আগে গত আগস্ট মাসে চরম দারিদ্র্যের যে ধারণা দিয়েছিল, নতুন প্রতিবেদনে সে সংখ্যা তার চেয়ে অনেক বেশি। গত আগস্টে বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, কোভিড-১৯-এর কারণে বিশ্বব্যাপী ১০ কোটি মানুষ হতদরিদ্র হতে পারে।
বিশ্বব্যাংক গতকাল বুধবার নতুন প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২১ সাল নাগাদ প্রায় ১৫ কোটি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাত্রার ব্যয় ১ দশমিক ৯ ডলারের নিচে নেমে যেতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ১ দশমিক ৪ শতাংশ চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে মনে করছে বিশ্বব্যাংক। নভেল করোনাভাইরাসজনিত মহামারির নেতিবাচক প্রভাবে প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে এই দাতা সংস্থা। বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাস সরকারের প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক কম।
বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তর থেকে কোভিড-১৯-এর প্রেক্ষাপটে ভার্চুয়াল বার্ষিক সভা শুরুর আগে আজ বৃহস্পতিবার প্রকাশিত সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস প্রতিবেদনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির বিষয়ে এই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।