কত অর্থের বিনিময়ে কালো তালিকা থেকে সুদানকে বাদ দিচ্ছেন ট্রাম্প?
সন্ত্রাসবাদে মদদ দেওয়ার জন্য সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। শর্তসাপেক্ষে সে তালিকা থেকে সুদানের নাম মুছে দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শর্ত দিয়েছেন, সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সুদানকে। তা হলেই কালো তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে নেবেন তিনি। সন্ত্রাসে মদদ দেওয়ার জন্য সুদানের নাম কালো তালিকায় রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ট্রাম্প স্থানীয় সময় সোমবার মধ্যরাতে এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘সুদান সরকার ক্ষতিগ্রস্ত আমেরিকান পরিবারগুলোকে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে। এই অর্থ জমা পড়লেই আমি সন্ত্রাসবাদে মদদকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে সুদানের নাম সরিয়ে দেব। দীর্ঘদিন পরে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ন্যায় পাচ্ছে। সুদানও একটা বড় পদক্ষেপ নিয়েছে।’
সুদানের প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক ট্রাম্পের টুইটের জবাবে বলেছেন, ‘আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আমরা মার্কিন কংগ্রেসে সুদান নিয়ে আপনার প্রস্তাব পাঠানোর দিকে তাকিয়ে আছি। কালো তালিকাভুক্ত হওয়ায় সুদানের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৩ সালে সুদানকে কালো তালিকাভুক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ ছিল, সুদান সরকার সন্ত্রাসবাদে মদদ দিচ্ছে। সে সময় সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশির গত বছর বিক্ষোভের ফলে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন। বসিরের সঙ্গে আল-কায়েদার যোগ ছিল বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ।
সুদান এখন যে ৩৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্যাকেজ দিতে রাজি হয়েছে, তার মধ্যে ১৯৯৮ সালে তাঞ্জানিয়া ও কেনিয়ায় এবং ২০০০ সালে ইয়েমেনে মার্কিন দূতাবাসে আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিনিদের ক্ষতিপূরণও অন্তর্ভুক্ত আছে।
এদিকে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে সুদান। এর আগে মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করেছে আরব আমিরাত ও বাহরাইন। আর ডোনাল্ড ট্রাম্পও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁর পররাষ্ট্রনীতির এই সাফল্য নিয়ে ভরপুর প্রচার চালাচ্ছেন। এবার ট্রাম্পের প্রচারে সুদানের বিষয়টিও উঠে আসছে।