এবার সৌদি আরবেও আজানে শব্দ পরিবর্তন
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে আজানের শব্দে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান, কুয়েত ও আরব আমিরাত। এবার সে তালিকায় নাম লেখাল সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কা। এর আগে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববী ছাড়া দেশের বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে দেশটির সরকার। সৌদি সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট মঙ্গলবার জানায়, দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংগঠন দ্য কাউন্সিল অব স্কলার্স এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এ জন্য আজানের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন এসেছে।
কুয়েত ও আরব আমিরাতে আজানের শব্দ ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে সেই স্থলে ‘আস-সালাতু ফি বুয়ুতিকুম’ বলা হচ্ছে। মক্কাতেও আজানের শব্দ ‘হাইয়্যা আলাস-সালাহ’ পরিবর্তন করে ‘সাল্লু ফি রিহালিকুম’ অর্থাৎ, ‘তোমরা আবাসস্থলেই নামাজ আদায় করে নাও’ বলে আহ্বান করা হচ্ছে।
তবে সৌদি আরবে মসজিদ পুরোপুরি বন্ধ করা হয়নি। সেখানে শুধু জামাতে নামাজ পড়া সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। নিয়মিত আজান হবে এবং সবাইকে বাসায় নামাজ পড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এর আগেও মক্কা-মদিনার মসজিদ বন্ধ করেছিল সৌদি আরব। গত ৫ মার্চ মক্কার ঐতিহাসিক মসজিদুল হারামে কাবা শরিফ চত্বরে প্রবেশ সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। একই দিন বন্ধ করে দেওয়া হয় মদিনার মসজিদে নববীও। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষে একদিন পরেই ফের খুলে দেওয়া হয় মসজিদ দুটি।
সৌদি আরবে এ পর্যন্ত অন্তত ২৩৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৯২৫ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ১৯ হাজার ২৮৬ জন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৮৪ হাজার ৮০১ জন। বার্তা সংস্থা বিএনও নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
এরই মধ্যে বিশ্বের ১৭৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এর মধ্যে ইউরোপে করোনায় আক্রান্তের পাশাপাশি চলছে মৃত্যুর মিছিল। চীনের পর ইতালিতে সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে কোভিড-১৯। প্রতিমুহূর্তে সেখানে বাড়ছে আক্রান্ত আর প্রাণহানি। করোনার প্রভাব জনজীবনকে কতটা স্তিমিত করে দিতে পারে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ইতালির মানুষ। এখন পর্যন্ত ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯৭৮ জনে। এ ছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন চার হাজার ২৫ জন।