এবার করোনা ভ্যাকসিনের সফলতা দাবি করল মার্কিন প্রতিষ্ঠান
নভেল করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলছে মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজারের ভ্যাকসিন বা টিকা। ফাইজারের দাবি, আধুনিকতম আরএনএ জিন প্রযুক্তিতে তৈরি এই টিকা প্রাথমিক ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলো সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।
নিউইয়র্কের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ও হাসপাতালে তাদের টিকার পরীক্ষা করিয়েছে। ফাইজারের দাবি, রাশিয়ার ‘স্পুটনিক ৫’-এর পর তাদের টিকাও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাফল্য পেয়েছে।
এদিকে ব্রিটিশ সরকারও একটি করোনা টিকার তিন কোটি ডোজের অর্ডার দিয়েছে। তাদের দাবি, সেটি করোনা রুখতে সক্ষম।
গত ১২ আগস্ট নেচার জার্নালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তবে এসব টিকা আদতে কতটা কার্যকর, তা জানা না গেলেও বিজ্ঞানীরা চেষ্টা করছেন, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এমনভাবে গড়ে তোলার, যাতে তার মনে হয়, সেটি করোনা জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে। তখন তা নিজে থেকে শরীরে গড়ে তোলে রোগ প্রতিরোধী শক্তি। কাউকে অসুস্থ করে না তুলেই করোনার বিরুদ্ধে শরীর যাতে নিজে থেকে রোগ প্রতিরোধে প্রস্তুত হতে পারে, তাই এ ব্যবস্থা।
নেচার জার্নাল জানিয়েছে, ফাইজারের এই টিকার নাম আপাতত রাখা হয়েছে ‘বিএনটি১৬২বি১’। এটি দেওয়া হলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দ্বিতীয় ডোজে তা আরো শক্তিশালী হয়। এমনিতে এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, তবে কোনো কোনো স্বেচ্ছাসেবীর এই ডোজ নেওয়ার পর ইনজেকশনের জায়গায় একটু ব্যথা হয়েছে; ক্লান্তি, জ্বর, নিদ্রাহীনতা ও মাথা ধরার মতো উপসর্গও রয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে এ সবই কেটে যাবে বলে গবেষকরা দাবি করেছেন।