এনআরসি-সিএএ বিক্ষোভের মধ্যেই দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন আজ
ভারতের দিল্লির ৭০টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ আজ শনিবার। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-সিএএ ও নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই দিল্লির ভোটযুদ্ধ পেয়েছে আলাদা মাত্রা। এক কোটি ৪৭ লাখ ভোটার নির্ধারণ করবেন প্রার্থীদের ভাগ্য।
দিল্লিতে এবারও ত্রিমুখী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেস। সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে লড়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এলজেপি ও জেডিইউকে তিনটি আসন ছেড়ে বিজেপি, আর কংগ্রেস আরজেডিকে ছেড়েছে চারটি আসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।
পাঁচ বছর আগে দিল্লির বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টির বিজয় দেখেছিল গোটা ভারত। তবে লোকসভা ভোটে রাজধানীর সাতটি আসনই দখল করে বিজেপি। চলতি বছরের জানুয়ারির শেষ নাগাদ শাহিনবাগে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনকে সামনে রেখে আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নিশানা করা শুরু করেন বিজেপি নেতারা। অমিত শাহ, রবিশঙ্কর প্রসাদ, অনুরাগ ঠাকুর, প্রবেশ বর্মা ও কপিল মিশ্রদের মতো স্থানীয় নেতাদের মুখে গত কয়েকদিন শাহিনবাগ ছাড়া কোনো কথা শোনা যায়নি। শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকার আড়ালে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র চলছে বলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও অভিযোগ করেছেন।
পানি, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও নারীদের নিরাপত্তায় সরকারের পদক্ষেপই কেজরিওয়ালের ভরসা। অন্যদিকে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে প্রচার এবং শাহিনবাগের আন্দোলনকে আক্রমণ করে ভোটের বাজারে টিকে থাকতে চাইছে বিজেপি। এক হাজার ৭০০ অবৈধ কলোনির ৪০ লাখ বাসিন্দার জমির অধিকারে পার্লামেন্টে আইন পাসও বিজেপির হাতিয়ার। দিল্লির দূষণও ভোটের ইস্যু। তবে, যানবাহন চলাচলে জোড়-বিজোড় নিয়ম চালু করায় কেজরিওয়ালের পদক্ষেপে খুশি অনেকেই।
ভারতের রাজনৈতিক মহল বলছে, দিল্লি ভোটে প্রভাব ফেলবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে বিজেপির কোনো মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী নেই। দিল্লির প্রায় ২৫টি বিধানসভা আসনে ভোটারদের মধ্যে ৩০ শতাংশ বিহার, ঝাড়খন্ড ও উত্তরপ্রদেশের ভোটার। যাঁদের ভোটের বড় অংশই এবার আম আদমি পার্টির পক্ষে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে না থাকলেও কংগ্রেস যদি নিজেদের ভোটব্যাংক ধরে রাখতে পারে, তাহলে কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে পারে আম আদমি পার্টি।