ইসরায়েলি হামলায় পরিবার শেষ, বেঁচে গেছে বাবা-ছেলে
ফিলিস্তিনের গাজায় একটি শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে ওই পরিবারের পাঁচ মাস বয়সী এক শিশু। হামলার সময় শিশুটির বাবা মোহাম্মদ আল হাদিদি বাড়িতে না থাকায় তিনি বেঁচে গেছেন। খবর রয়টার্স ও নিউইয়র্ক পোস্টের।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার গাজার পশ্চিমে শরণার্থী শিবিরটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলা থেকে বেঁচে যাওয়া শিশুটির নাম ওমর আল হাদিদি। হামলায় শিশুটির মা, চার ভাইবোন ও স্বজনসহ ১০ জন নিহত হন।
হামলার সময় শিশুটির বাবা মোহাম্মদ আল হাদিদি বাড়িতে ছিলেন না। তিনি রয়টার্সকে বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, আমার এখনও ওমর রয়েছে।’
আল হাদিদি আরও বলেন, ‘ওই শরণার্থী শিবির থেকে কোনো রকেট হামলা চালানো হয়নি। সেখানে শুধু শিশু ও নারী ছিল। কোন অপরাধে তাদের এভাবে মেরে ফেলা হলো?’
ওমরের চিকিৎসক বলেন, ‘পাঁচ মাস বয়সী শিশুটির অবস্থা ভালো না। তার পায়ের হাড় ভেঙে গেছে। সারা শরীরে আঘাতের দাগ।’
এদিকে টানা এক সপ্তাহ ধরে ফিলিস্তিনের সাধারণ জনগণের ওপর একের পর এক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আজ রোববারও ইসরায়েলি হামলায় ১৩ শিশুসহ অন্তত ৩৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও ৫০ জন।
এখন পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ১৮০ জনের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জনই শিশু। অপর দিকে আহত হয়েছে এক হাজারের বেশি মানুষ। পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে কমপক্ষে ১৩ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তা ছাড়া এখন পর্যন্ত ইসরায়েলে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে।