ইরাকে পোপ ফ্রান্সিসের ঐতিহাসিক সফর
এক ঐতিহাসিক সফরে শুক্রবার ইরাকে পৌঁছেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু পোপ ফ্রান্সিস। দেশটিতে এটিই প্রথম কোনও পোপের সফর। করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর এটি পোপ ফ্রান্সিসেরও প্রথম আন্তর্জাতিক সফর।
করোনাভাইরাস ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে পোপের এই সফর বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে গণমাধ্যমগুলোতে উল্লেখ করা হচ্ছে। কিন্তু ৮৪ বছর বয়সী পোপ ফ্রান্সিস বলেন, তিনি সফরের জন্য ‘দায়িত্বে আবদ্ধ’ ছিলেন। খবর বিবিসির।
সফরে ইরাকে ক্রমশ ক্ষীণ হয়ে আসা খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে আশ্বস্ত করবেন পোপ। এ ছাড়া ইরাকের প্রধান শিয়া নেতার সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে আন্ত-ধর্মীয় সংলাপ এগিয়ে নিতেও প্রচেষ্টা চালাবেন তিনি।
ইরাকের উত্তরে অবস্থিত ইরবিল শহরের এক স্টেডিয়ামে গণ জমায়েতে অংশ নেবেন পোপ। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সদস্যকে পোপের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে। এ ছাড়া ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জারি রয়েছে কারফিউ।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল-কাদিমি বিমানবন্দরে পোপকে অভিবাদন জানান। বিমানে পোপ জানান, আবারও ভ্রমণ করতে পেরে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘এটি একটি প্রতীকী সফর এবং এই ভূমির প্রতি এটি কর্তব্য যে ভূমি অনেক বছর ধরে শহীদ হয়েছে।’