যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় দিনের মতো করোনাভাইরাসে প্রায় দুই হাজার মানুষ মারা গেছে। অন্যদিকে, ইউরোপে মৃত্যুর সংখ্যা আবারো বেড়ে গেছে। এমন প্রেক্ষাপটেও সুড়ঙ্গের শেষে আলো দেখছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত ৮৮ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। পর্যুদস্ত বিশ্ব অর্থনীতি। ঘরে আটকা কোটি কোটি মানুষ। অর্থনৈতিক অচলাবস্থা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলছেন, বিধিনিষেধ শিথিল করা হলে করোনাভাইরাস ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

ইউরোপে যে কয়টি দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছে তীব্রভাবে, তার একটি ফ্রান্স। দেশটিতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ। নতুন দিক নির্দেশনা দিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ আগামী সপ্তাহে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।

ম্যাক্রোঁর ঘনিষ্ঠ একজন কর্মকর্তা জানান, গত ১৭ মার্চ ফ্রান্সে যে লকডাউনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, আগামী ১৫ এপ্রিল তা শেষ হওয়ার আগেই আবার বাড়ানো হবে।

ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র একদিনে সর্বাধিক এক হাজার ৯৭৩ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছে। অন্যদিকে, ইতালি ও স্পেনেও শত শত লোক প্রতিদিন মারা যাচ্ছে। গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যে মারা গেছে ৯৩৮ জন।

এদিকে ইনটেনসিভ কেয়ারে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে) থাকা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জনগণকে আশ্বস্ত করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে ভাইরাসের মূল কেন্দ্র নিউইয়র্কে কেবল একদিনে সর্বাধিক ৭৭৯ জন মারা গেছে। তবু, এ অঙ্গরাজ্যের গভর্নর আশা করছেন, সামনের সপ্তাহগুলোতে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। একই আশার আলো দেখাচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স।

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছি। সুড়ঙ্গের শেষে আশার আলো দেখা যাচ্ছে।’

পেন্স দাবি করেন, ‘আমরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছি।’

এদিকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার প্রধান রবার্টো এজেভেদো কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, জরুরি স্বাস্থ্য পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক মন্দা তীব্র রূপ নিচ্ছে।

এ পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের কিছু দেশ অর্থনৈতিক কার্যক্রম পুনরায় শুরুর জন্যে লকডাউন শিথিল করার কথা ভাবছে।

কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপীয় পরিচালক হ্যান্স ক্লুগে বলেছেন, শিথিল করার সময় এখনো আসেনি।