ইউক্রেনকে ‘অবিলম্বে’ ইইউ প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া উচিত
ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) যোগদানের জন্য ইউক্রেনের প্রস্তাবকে সমর্থন করেছেন ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও রোমানিয়ার নেতারা। ইউক্রেনকে ‘অবিলম্বে’ ইইউ প্রার্থীর মর্যাদা দেওয়া উচিত বলেও জানান তাঁরা।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেন, ‘ইউক্রেন ইউরোপীয় পরিবারের অন্তর্গত।’
তবে, জার্মান চ্যান্সেলর জানান, ইউক্রেনকে এখনও সম্পূর্ণরূপে যোগদানের মানদণ্ড পূরণ করতে হবে। খবর বিবিসির।
এদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জোর দিয়ে বলেছেন, ২৭ সদস্যের ইউরোপীয় ইউনিয়ন রাশিয়ার বিরুদ্ধে জয় না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেনের পাশে থাকবে।
এর আগে এলিসি প্রাসাদের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ, জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ও রোমানিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্লাউস ইয়োহানিস কিয়েভ সফরে গেছেন। পরে তাঁরা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইউক্রেনকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার ঘোষণার এক দিন পর তাঁরা এ সফর করলেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে হামলা শুরু করে রাশিয়া। প্রথমে রাজধানী কিয়েভ দখলের লক্ষ্যে হামলা শুরু করলেও পরে রাশিয়া জানায়, তারা পূর্বাঞ্চলকে ‘মুক্ত’ করতে এখন পুরোপুরি মনোযোগ দেবে।
রাশিয়ার হামলার ঝুঁকির মধ্যেই গত মার্চে কিয়েভ সফরে যান ইউরোপের তিন দেশ পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীরা। পরে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের শীর্ষ কূটনীতিকেরা কিয়েভে গিয়ে ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তবে সর্বশেষ সফরকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। কারণ, ইউরোপ তথা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও ইতালির নেতারা রয়েছেন এই সফরে।
সফরকালে বৃহস্পতিবার চার ইইউ নেতা কিয়েভের কাছে বিধ্বস্ত শহর ইরপিন পরিদর্শন করেছেন, যা কয়েক সপ্তাহ ধরে রাশিয়ার দখলে ছিল। রুশ সেনারা ইরপিন এবং বুচা শহরে শত শত বেসামরিক লোককে হত্যা করে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে অভিযুক্ত ইউক্রেনের। তবে, ইউক্রেনের এ দাবি মস্কো অস্বীকার করেছে।