ইরানের অন্যতম শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলেইমানির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনার জেরে ভুল করে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে নিজেদের যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত করেছিল ইরান। এবার নিজেদের জাহাজে ইরান ভুল করে মিসাইল ছুড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পারস্য উপসাগরে মহড়া চলাকালে গতকাল রোববার ইরানের নৌবাহিনীর একটি জাহাজ থেকে ছোড়া মিসাইলে নৌবাহিনীর আরেক জাহাজের অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছে। আনাদোলু এজেন্সি এ খবর জানিয়েছে।

পারস্য উপসাগরে গতকালের এ ঘটনাকে ‘মানবসৃষ্ট ভুল’ বলে দাবি করেছে ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) কর্তৃপক্ষ।

আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জামারান থেকে ছোড়া সি-৮০২ নূর মিসাইল অন্য একটি জাহাজের ওপর আঘাত হানে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ইরানি নৌবহরে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ওই জাহাজে ৩০ থেকে ৪০ জন ক্রু ছিলেন। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ওই জাহাজের কমান্ডারও আছেন।

এদিকে, আইআরজিসি এ ঘটনাকে ‘মানবসৃষ্ট ভুল’ বললেও ইরানি সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগির বিবৃতি দেবে ইরানি নৌবাহিনী।

পারস্য উপসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যে এ ঘটনা ঘটল।

গত মাসের শেষ দিকে মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজ ও ইরানের নৌবাহিনীর গানবোট বিপজ্জনকভাবে মুখোমুখি হয়ে পড়েছিল। পরে যুক্তরাষ্ট্র এক বিবৃতিতে জানায়, ইরানের নৌবাহিনী তাদের ‘হয়রানি’ করেছে। টুইটারে এ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উসকানিও দিয়েছিলেন। পাল্টা জবাব দিয়েছিলেন আইআরজিসির প্রধান জেনারেল হোসেইন সালামি।

গত শনিবার গুজব ছড়িয়ে পড়ে, একটি মার্কিন ড্রোনকে নিজেদের সীমানার পানিতে ফেলেছে ইরান। এ নিয়ে দুই দেশ তর্কে জড়িয়ে পড়ে। পারস্য উপসাগরে ইরানের চলমান মহড়া সাম্প্রতিক এ উত্তেজনাকে কেন্দ্র করেই। এর মধ্যে নিজেদের জাহাজেই মিসাইল ছোড়ার এমন কাণ্ড ঘটিয়ে বসল ইরান।