আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও ভবিষ্যৎ গতিপথ কোন দিকে?
ইউরোপিয়ান ফাউন্ডেশন ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ (ইএফএসএএস)-এর আয়োজনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং এ অঞ্চলের ভবিষ্যৎ গতিপথ-সংক্রান্ত এক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনটি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত ইউরোপীয় পার্লামেন্টে গত বুধবার অনুষ্ঠিত হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে খামা প্রেস।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস ভন ব্র্যান্ডট জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের পরিস্থিতি এবং পশ্চিম ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের ভবিষ্যৎ করণীয় সম্পর্কিত ওই আলোচনায় পাকিস্তান যথেষ্ট গুরুত্ব পায়নি।
সম্মেলনে আফগানিস্তানে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত আন্দ্রেয়াস ভন ব্র্যান্ড, ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আফগানিস্তান বিষয়ক প্রতিনিধি দলের সভাপতি পেত্রাস অস্ট্রেভিসিয়াস, বিভিন্ন প্যানেল আলোচক এবং আফগান বুদ্ধিজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
খামা নিউজ জানিয়েছে—পাকিস্তান আফগানিস্তান ও এশীয় অঞ্চলসহ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে দাবি করে প্যানেল আলোচকেরা দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ইইউর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
সম্মেলনে অংশ নেওয়া মর্যাদাপূর্ণ উইমেনস রাইটস ডিফেন্ডার পুরস্কার পাওয়া হোরিয়া মোসাদিক বলেছেন, পাকিস্তান কখনোই তালেবানকে সমর্থন করা বন্ধ করেনি। আর, সাংবাদিক বশির আহমেদ গওয়াখ বলেন, পাকিস্তানকে ‘ভালো’ ও ‘খারাপ’ তালেবান অজুহাত থেকে বের হতে হবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত স্বীকার করেছেন যে, গত ২০ বছরে পশ্চিমারা পাকিস্তান ইস্যুতে অনেক ভুল করেছে। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা পাকিস্তান সম্পর্কে যথেষ্ট কথা বলছি না। তবে কথা বলা হোক, আমি সেটাই চাই।’
দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে মধ্য এশিয়ায় সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বিবেচনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পেত্রাস অস্ট্রেভিসিয়াস। তিনি আরও বলেন, ইইউ-তে পাকিস্তানকে জিএসপি+ মর্যাদা দেওয়ার আগে দেশটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।