আজ ভারতের লোকসভায় উঠছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল
আজ ভারতের লোকসভায় উঠতে চলেছে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। বিতর্কিত এই বিলটি পাস করানো সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। গত বুধবার এই বিলটি সংসদে পেশ করার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার পর থেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছে বিরোধীরা।
পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে গত সোমবার থেকে আগামী তিন দিন সংসদের লোকসভায় সব সাংসদকে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিজেপি। মূলত লোকসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় সেখানে বিজেপির এই বিল পাস করানোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে রাজ্যসভাতেই হবে মূল লড়াই। বিজেপির দাবি, বিলটি পাস হওয়ার জন্য ১২০ জন সাংসদের সমর্থন প্রয়োজন।
সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মহলের খবর অনুযায়ী, বিজেপির সঙ্গে সংঘাত চললেও বিলের পক্ষেই ভোট দেবে শিবসেনা। পাশাপাশি বিজেডি, টিআরএস এবং এআইএডিএমকের সমর্থন আদায় করার চেষ্টা করছে বিজেপি। এই বিলের সংশোধনী আনা হলে পাকিস্তান, আফগানিস্তান, বাংলাদেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, শিখ, পার্সি ও খ্রিস্টানরা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন। তবে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য ভারতে অন্তত তাঁদের পাঁচ বছর বসবাস করতে হবে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী, ভারতের নাগরিকত্ব পেতে গেলে অন্তত ১১ বছর ভারতে থাকতে হতো। এদিকে, এ বিলের প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার ১১ ঘণ্টার ‘বনধ’ ডেকেছে ভারতের নর্থ ইস্ট স্টুডেন্টস ইউনিয়ন।
তাদের দাবি, বিলটি ১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তিবিরোধী। ওই চুক্তিতে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ পর্যন্ত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে যাঁরা ভারতে এসেছেন, তাঁরা নাগরিকত্ব পাবেন। যে কারণে এই বিলের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামার হুমকি দিয়েছে আসামের বেশ কয়েকটি ছাত্রসংগঠন। অন্যদিকে, বিলটির বিরোধিতায় সরব হয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএম।
কংগ্রেস নেতা শশী থারুর বলেন, ‘সব ধর্মের মানুষকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে তা মেনে নেব। কিন্তু ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া হলে, তার বিরোধিতা করব। এই বিল একেবারে অসাংবিধানিক। পাশাপাশি বিলটির বিরোধিতা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।