অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই, ফিলিস্তিনে নেই ঈদের আনন্দ
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে বিদায় নিল আরও একটি রমজান মাস। এলো খুশির ঈদ। আজ বৃহস্পতিবার মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। তবে সংক্রমণের ভয়াবহতা, নানা বিধিনিষেধ ও ফিলিস্তিনিদের রক্তবন্যায় এ বছর ঈদের খুশি অনেকটাই মলিন।
আরব দেশগুলো যখন ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি ও উল্লাস করছে, ঠিক তখন মধ্যপ্রাচ্যেরই আরেক দেশ ফিলিস্তিন করছে অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই।
ফিলিস্তিনের অলিগলিতে নেই কোনো উৎসবের আমেজ, দোকানপাট রয়েছে বন্ধ এবং রাস্তায় সুনসান নিরবতা। ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর দফায় দফায় বিমান হামলায় ধংসস্তুপে পরিণত হয়েছে এলাকাটি। আর তাই এ বছর ঈদ উৎসব থেকে বিরত রয়েছে ফিলিস্তিনবাসী।
তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলা এ সংঘর্ষের কারণে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন বাতিল করেছেন।
পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে সৌদি আরব। করোনার প্রকোপে গত বছর ভালোভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেনি দেশটি। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের দিন কারফিউও দেওয়া হয়েছিল সেখানে। তবে এ বছর পরিস্থিতি বদলেছে। পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে ঈদের আনন্দে মেতে উঠেছে সৌদির লোকজন।
আজ ঈদুল ফিতর উদযাপন করছে আলজেরিয়া, মিসর, জর্ডান, তুরস্ক, বাহরাইন, ইরাক, কাতার, সিরিয়া, তিউনিসিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান। এর মধ্যে বেশ কিছু দেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ঈদের ছুটি চলাকালে বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মুখে ইরাকে গত বুধবার থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। রাত ৯টার মধ্যে সব দোকানপাট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে মিসর। সেখানে এই বিধিনিষেধ থাকবে আগামী ২১ মে পর্যন্ত। ১৬ মে পর্যন্ত কারফিউ জারি করেছে তিউনিসিয়া।
অবশ্য সংক্রমণের হার কমে আসায় কিছু দেশে কড়াকড়ি শিথিলও করা হযেছে। এর মধ্যে জর্ডান অন্যতম। দেশটিতে ঈদের দিন থেকে রাত্রিকালীন কারফিউয়ের সময় সীমিত করা হয়েছে।