অস্ট্রেলিয়ায় ঢুকলেই ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক আইসোলেশন
অন্য দেশ থেকে আগতদের সবাইকে ১৪ দিনের ‘সেলফ আইসোলেশনে’ (স্বেচ্ছায় নিরুদ্ধ) থাকা বাধ্যতামূলক ঘোষণা করল অস্ট্রেলিয়া। গতকাল রোববার মধ্যরাতের পর যাঁরা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পা রেখেছেন, তাঁদের সবাইকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আইসোলেশনে থাকতে হবে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে পার্শ্ববর্তী দেশ নিউজিল্যান্ডও এমন আদেশ জারি করেছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন নতুন মন্ত্রিসভাকে করোনাভাইরাসবিরোধী যোদ্ধা মন্ত্রিসভা বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় অস্ট্রেলিয়ায় আগমনেচ্ছু সবার জন্য সমানভাবে আইসোলেশন বাধ্যতামূলক করা হলো।’
এ ছাড়া আগামী ৩০ দিন কোনো দেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ার বন্দরে যাত্রীবাহী জাহাজ ভেড়ানো যাবে না বলে ঘোষণা দেন স্কট মরিসন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২৬২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে তিনজন প্রাণ হারিয়েছেন। করোনার বিস্তার রোধে এর আগেই ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান ও চীনসহ বেশকিছু দেশ থেকে লোকজনের অস্ট্রেলিয়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর আগে গত শনিবার নিউজিল্যান্ডও যেকোনো দেশ থেকে তাদের দেশে আগতদের সেলফ আইসোলেশন বাধ্যতামূলক এবং যাত্রীবাহী নৌজাহাজ ভেড়ানো নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দেয়।
এদিকে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৪৭৫ জনে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ৬৫ হাজার ৯৬৯ জন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৫ হাজার ৯১০ জন।
চীনে করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে এলেও বেশ কয়েক দিন থেকেই ইউরোপ রয়েছে আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে।