অবশেষে নাতি-নাতবৌয়ের ‘স্বাধীনতায়’ সম্মত রানী এলিজাবেথ
অবশেষে রাজপরিবারের কড়া নিয়মকানুন ও জনগণের অর্থায়নে না চলে স্বাধীনভাবে নিজেদের আয়ে জীবনযাপনে নাতি প্রিন্স হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগানের ইচ্ছার প্রতি সম্মত হয়েছেন যুক্তরাজ্যের রানী এলিজাবেথ। গতকাল সোমবার যুক্তরাজ্যের রাজপরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে রানীর বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
সাসেক্সের ডিউক এবং ডাচেস রাজ পরিবারের ‘জ্যেষ্ঠ’ সদস্যের দায়িত্ব থেকে সরে গিয়ে স্বাধীনভাবে বসবাস করার সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করল রাজপরিবার। কানাডা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে পর্যায়ক্রমে বসবাস করবে এই দম্পতি। লন্ডন থেকে ১০০ মাইল দূরে পূর্ব ইংল্যান্ডের নোরফোকে রানীর স্যানড্রিংহাম এস্টেটে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, প্রিন্স চার্লস, প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারির মধ্যে গতকাল সোমবারের বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমার নাতি এবং তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে আজ খুব গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। হ্যারি এবং মেগান দম্পতি তরুণ পরিবার হওয়ায় তাদের আকাঙ্ক্ষিত নতুন জীবনের সম্পূর্ণ সমর্থনকারী আমি ও আমার পরিবার। যদিও আমরা তাদের পূর্ণ-সময়ে রাজপরিবারের কর্মক্ষম সদস্য থাকার পক্ষে অগ্রাধিকার দিয়েছি, তাদের স্বচ্ছল জীবনযাপনের ইচ্ছাকে সম্মান করি এবং বুঝতে পারি এবং পরিবারটি আমার পরিবারের মূল্যবান অংশ ছিল।’
রানী বলেন, ‘হ্যারি ও মেগান স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা তাদের নতুন জীবনে পাবলিক ফান্ডের ওপর নির্ভর করতে চান না। তবে তারা এই পরিবর্তনের সময়ে কানাডা ও যুক্তরাজ্যে বসবাস করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’
বিবৃতিতে যুক্তরাজ্যের রানী আরো বলেন, ‘বিষয়টি জটিল আমার পরিবারের পক্ষে সমাধানের জন্য, আরো কিছু কাজ করার দরকার রয়েছে। তবে আমি আগামী দিনগুলোতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলেছি।’
এর আগে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে ‘প্রগতিশীল’ জীবনযাপন করতে চান বলে জানান প্রিন্স হ্যারি। গণমাধ্যমের তীক্ষ্ম নজরে পড়ে বেশ বিব্রতকর সময় পার করছিলেন বিশ্বের জনপ্রিয় দম্পতিদের মধ্যে অন্যতম হ্যারি-মেগান। গত বছর একটি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েডের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেন হ্যারি। তিনি বলেন, পত্রিকাগুলো তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে যা তা লিখছে। যেমনিভাবে তাঁর মা প্রিন্সেস ডায়ানা ১৯৯৭ সালে প্যারিসে গাড়িবিধ্বস্ত হয়ে মৃত্যুর আগের সময়গুলোতে পত্রিকাগুলোর কারণে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।