অনুসন্ধানে পাওয়া সংকেত নিখোঁজ উড়োজাহাজের হতে পারে : ইন্দোনেশিয়া কর্তৃপক্ষ
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় উড্ডয়নের কিছুক্ষণের মধ্যেই বোয়িংয়ের একটি উড়োজাহাজ নিখোঁজ হওয়ার পর চলছে অনুসন্ধানের কাজ। ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ বলছে, এরই মধ্যে কিছু সংকেত পাওয়া যাচ্ছে, যেটি ওই উড়োজাহাজের ফ্লাইট রেকর্ডারের বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে জাকার্তার কাছে সাগর থেকে কিছু বস্তু উদ্ধার করা হয়, যেগুলোকে নিখোঁজ ওই উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে করা হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে আজ রোববার এ খবর জানানো হয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার সার্চ অ্যান্ড রেসকিউ এজেন্সির প্রধান বাগুস পুরুহিতো বলেছেন, আমরা দুটি স্থান থেকে সংকেত শনাক্ত করেছি। এটি ব্ল্যাকবক্সের হতে পারে। আমরা অনুসন্ধান করব।’
এর আগে গতকাল শনিবার জাকার্তার সুকর্ণ-হাট্টা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পর সংযোগ হারিয়ে ফেলে উড়োজাহাজটি। এটি পশ্চিম কালিমানতান প্রদেশের রাজধানী পন্টিয়ানাকের দিকে যাচ্ছিল। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়ে থাকতে পারে।
ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যম রিপাবলিকার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই ফ্লাইটে ১২ ক্রুসহ ৬২ আরোহী ছিলেন। এর আগে জানানো হয়েছিল, এতে ছয় শিশুসহ ৫৯ আরোহী ছিলেন। যার মধ্যে ছয়জন ক্রু।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহণমন্ত্রী বুদি কারিয়া এক সংবাদ সম্মেলনে উড়োজাহাজে ৬২ আরোহী থাকার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উড়োজাহাজটির অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তৎপরতা চলছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সিন্দোনিউজের বরাত দিয়ে ডয়েচে ভেলে আরো জানিয়েছে, এর আগে দুটি ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হওয়া বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স সিরিজের উড়োজাহাজ ছিল না এটি। নিখোঁজ উড়োজাহাজটি ২৭ বছরের পুরোনো বোয়িং ৭৩৭-৫০০ সিরিজের।
স্থানীয় বিমান সংস্থা শ্রীবিজয়া এয়ার উড়োজাহাজটির মালিক। সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা নিখোঁজ উড়োজাহাজের ব্যাপারে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছে।
এর আগে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ারের একটি উড়োজাহাজ সমুদ্রে বিধ্বস্ত হয়ে ১৮৯ যাত্রী নিহত হয়।