সিটে জায়গা হবে কি না, যাত্রীকে মাপতে ফিতা নিয়ে হাজির বিমানকর্মী
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে নিজের শহর নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড ফিরবেন বলে বিমানবন্দরে গেছেন মা-মেয়ে। কিন্তু এমনই অভিজ্ঞতা হলো যে, নিজের ওজন না কমানো পর্যন্ত আর কখনো বিমানেই চড়বেন না বলে পণ করেছেন মা হুহানা ইরপা।
মা ও মেয়ের শরীরে এতটাই মেদ জমেছে যে বিজনেস ক্লাসের আসনে জায়গা হবে না ভেবে, বিমানে ওঠার আগে তাঁদের শরীর মেপে দেখতে ফিতা নিয়ে ছুটে এলেন থাই এয়ারওয়েজের কর্মী। বিজনেস ক্লাসের টিকেট নিলেও, শেষমেশ দুই মেয়েকে নিয়ে ইকনোমি ক্লাসের আসনে বসেই দেশে ফেরেন ৫৯ বছর বয়সী হুহানা।
থাই এয়ারলাইনসের বিজনেস ক্লাসে বর্ধিত সিটবেল্ট দেওয়ার ব্যবস্থা নেই, তবে ইকনোমি ক্লাসে সেটি রয়েছে বলে জানায় এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।
স্থুলতা কমানোর সার্জারি শেষ করে দেশে ফিরছিলেন মা-মেয়ে। বিমানবন্দরের জনসমাগমে থাই এয়ারের কর্মীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন হুহানা। তবে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ শুধু ইকনোমি আর বিজনেস ক্লাসের ব্যবধান মূল্যের সমপরিমাণের বেশি ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হয়নি।
ঘটনার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও, সেই বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার কথা মনে হলে এখনো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সমাজকর্মী হুহানা। সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে তিনি বলেন, “থাই এয়ারলাইনসের কর্মী ‘মস্ত বড়’, ‘মস্ত বড়’ বলে চিৎকার করছিলেন। আর সারি ধরে দাঁড়ানো সবাই হাঁ করে আমাদের দিকে তাকিয়ে দেখছিল। এতটাই অপমানজনক ছিল যে আমার চোখে পানি চলে এসেছিল।’