যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় শতাধিক মৃত্যু, পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা নিউইয়র্ক মেয়রের
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত পরিস্থিতি খারাপ হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শহরটির মেয়র বিল দ্য ব্ল্যাসিও। গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি চিকিৎসা সামগ্রীর অভাবে শহরের করোনাজনিত পরিস্থিতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
নিউইয়র্কের মেয়র গতকাল রোববার বলেন, ‘আগামী ১০ দিনের মধ্যে চিকিৎসা সামগ্রীর আরো অপ্রতুলতা সৃষ্টি হবে। আরো ভেন্টিলেটর না পাওয়া গেলে মানুষ মারা যাবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে মোট করোনায় আক্রান্ত রোগীর প্রায় অর্ধেকই নিউইয়র্কে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে নিউইয়র্ক।
যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০০ জনের। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যানড্রু কুয়োমো গতকাল রোববার জানান, ১৫ হাজার ১৬৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগের দিনের আক্রান্তের সঙ্গে নতুন আরো চার হাজার রোগী যুক্ত হয়েছেন।
নিউইয়র্কের মেয়র দ্য ব্ল্যাসিও বলেন, ‘তেতো সত্যিটা সব মার্কিনির জানা প্রয়োজন। এটা (করোনাজনিত পরিস্থিতি) আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে। সত্যি বলতে কী, আগামী এপ্রিল ও মে মাসে এটা আরো অনেক খারাপ হতে যাচ্ছে।’
বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রায় ৫ শতাংশ এ মুহূর্তে নিইউয়র্কে।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলকে ভ্যাকসিন দেওয়া এক চিকিৎসক। এ কারণে স্বেচ্ছা-গৃহবন্দি (সেলফ কোয়ারেন্টিন) হয়েছেন মেরকেল। গত শুক্রবার মেরকেলকে নিউমোনিয়ার প্রতিষেধক দিয়েছিলেন এক চিকিৎসক। এরপর ওই চিকিৎসকের করোনা ধরা পড়ে। এরপর থেকেই সেলফ কোয়ারেন্টিনে চলে যান মেরকেল। গতকাল রোববার মেরকেলের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক দিন বাড়িতে থেকেই কাজকর্ম করবেন জার্মান চ্যান্সেলর।
করোনা পরিস্থিতিতে চাপ বাড়ছে স্পেনেও। স্বাস্থ্য এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। করোনা-সংকটের জেরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ আরো বাড়ানোর কথা ভাবছে স্পেন প্রশাসন। গত ২৪ ঘণ্টায় স্পেনে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৩০ শতাংশ। ইউরোপে ইতালির পর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি স্পেনেই। গোটা ইউরোপে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন অন্তত দেড় লাখ।