বাড়িতে স্বামীর লাশ বরফে চাপা দিয়ে স্ত্রী বেড়াচ্ছেন শিমলা (ভিডিওসহ)
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রিজেন্ট কলোনিতে এক বৃদ্ধের মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। এলাকাবাসী দাবি করেছে ওই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে, অন্যদিকে পুলিশ বলছে স্বাভাবিকভাবেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, পুলিশ বলছে, সমীররঞ্জন সূর (৬৮) নামের ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর সঙ্গে খুনের কোনো সম্পর্ক নেই। গত মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শারীরিক সমস্যার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে।
কিন্তু এলাকাবাসী জানিয়েছে, গতকাল (সোমবার) রাতের অন্ধকারে একটা বড় থামোর্কলের বাক্সে করে বরফ নিয়ে সমীররঞ্জনের শ্যালক বিশ্বনাথ দাসকে মৃতের বাড়িতে ঢুকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশিদের। তাঁদের অভিযোগ, ওই বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে। যদিও যাদবপুর থানার পুলিশের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে খুনের কোনো সম্পর্ক নেই।
মরদেহটি উদ্ধারের পর প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়েছিল তা তিন দিনের পুরনো। কিন্তু ময়না তদন্তের পর জানা গেছে, তিন দিনের নয়, বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে গত মঙ্গলবার দুপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রিজেন্ট কলোনির বাসিন্দা সমীররঞ্জন গত কয়েক বছর ধরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী ছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল।
এদিকে প্রতিবেশিরা জানিয়েছে, সমীররঞ্জনের স্ত্রী ও মেয়ে আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে শিমলায় বেড়াতে যাওয়ায় ওই বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বৃদ্ধ। আর খালি বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়।
তবে স্থায়ীয়দের অভিযোগ, সমীররঞ্জনকে খুন করে বরফে চাপা দিয়ে রেখেছিলেন তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। তাঁদের দাবি, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ মাছ সংরক্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয় এমন একটুকরা বরফ নিয়ে সমীররঞ্জনের বাড়িতে বিশ্বনাথকে ঢুকতে দেখেন তাঁরা।
পরে পুলিশ এসে সমীররঞ্জনের মরদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। খবর পেয়ে সমীররঞ্জনের স্ত্রী ও মেয়ে এ দিন দুপুরে কলকাতায় ফিরে আসেন।