পাকিস্তানের ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে চলতি বছর অনুষ্ঠিতব্য নয়াদিল্লির এসসিও সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাবে ভারত।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার এমনটা জানান। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে কথা তুলে রাভিশ কুমার দাবি করেন, চীনকে জাতিসংঘে পাকিস্তানই পাঠিয়েছে। কাশ্মীর ইস্যু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আগামীতে আর না তুলতেও ভারতের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান তিনি। এ ছাড়া কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয় বলে দাবি করেন ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই মুখপাত্র। অন্যদিকে, ১৬০ দিন আটক রাখার পর ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাঁচ রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিয়েছে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে আলোচনার পরপরই চলতি বছরে নয়াদিল্লির এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানোর ঘোষণা দিল ভারত। অন্যদিকে নয়াদিল্লি বলছে, জাতিসংঘে কাশ্মীর ইস্যুতে চীনকে ব্যবহার করছে পাকিস্তান।
রাষ্ট্রীয়ভাবে সন্ত্রাসে মদদদাতা হিসেবে অভিযোগ করে পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক না করার ঘোষণা ছিল ভারতের। কিন্তু জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে বৈঠকের পর নয়াদিল্লিতে আয়োজিত ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, চলতি বছরে এসসিও সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রাভিশ কুমার জানান, প্রচলিত নিয়মেই এসসিওর এই সম্মেলনে আয়োজক ও পর্যবেক্ষক দেশগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। পাশাপাশি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে কাশ্মীর ইস্যুতে দুই দফায় চীনকে ব্যবহার করছে পাকিস্তান বলেও অভিযোগ করেন রাভিশ কুমার। তিনি বলেন, কাশ্মীর ইস্যু ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় বিষয়। এ সময় তিনি আহ্বান জানান, কাশ্মীর ইস্যুতে ভবিষ্যতে যেন বিশ্ব সংস্থায় না যায় চীন।
রাভিশ কুমার বলেন, ‘জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য রাষ্ট্রকে দিয়ে পাকিস্তান আবারও চেষ্টা করেছিল, এই মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপক্ষীয় বিষয় আলোচনা করার। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য বলেছে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় স্তরে বিষয়টি আলোচিত হওয়া উচিত। আমরা চাই, ভবিষ্যতে এ ধরনের পদক্ষেপ থেকে চীন বিরত থাকবে।’
অন্যদিকে, ১৬০ দিন আটক রাখার পর ভারতশাসিত কাশ্মীরের পাঁচ রাজনৈতিক নেতাকে মুক্তি দিয়েছে কাশ্মীর কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি হাসপাতাল, ব্যাংক ও ট্রাভেল কোম্পানিগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়েছে। তবে এখনো বন্ধ রয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম।