ধস ও তুষারপাতে পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ভারতে ১৩১ প্রাণহানি
বৃষ্টি, তুষারপাত ও বরফধসে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও ভারতে ১৩১ জনের প্রাণহানি হয়েছে, নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে। ২৪ ঘণ্টায় আজাদ কাশ্মীরের নিলম ভ্যালিতে ৫৯ জনসহ পাকিস্তানে মারা গেছেন ৮২ জন। আফগানিস্তানে প্রাণ গেছে ৩৯ জনের এবং ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে অন্তত ১০ জনের।
পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীরের যতদূর চোখ যায় সবই বরফে আচ্ছাদিত। হচ্ছে তুষারপাত ও ভারি বৃষ্টি। এর মধ্যে ভূমিধস ও বরফধসের ঘটনাও ঘটছে। শীতকালীন এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে তিন দিন ধরে নিলম উপত্যকায় যোগ হয়েছে ভূমিধস আর হিমবাহধসের ঘটনা। এমন বিরূপ আবহাওয়ায় পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে শতাধিকে। আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাও নিচ্ছেন অর্ধশতাধিক মানুষ।
পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, হতাহতের বেশির ভাগই আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের লোকজন। এ ছাড়া বেলুচিস্তানে ২০ জন ও পাঞ্জাবে ১৪ জন মারা গেছেন। খাইবার পাখতুনখোয়ায়ও প্রাণ গেছে কয়েকজনের। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা করছে, এসব প্রদেশে হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পাকিস্তানি গণমাধ্যম ডন জানায়, ভারি বৃষ্টিপাতের পর নিলম উপত্যকায় তুষারধসে আটকেপড়া গ্রামবাসীকে উদ্ধারে স্থানীয়দের পাশাপাশি পুলিশ ও সেনাবাহিনী কাজ করছে।
আজাদ জম্মু-কাশ্মীরের কর্তৃপক্ষ জানায়, ভূমিধস ও ভারি তুষারপাতে অন্তত ৫৩টি বাড়ি, ১৭টি দোকান পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো শতাধিক স্থাপনা।
এ ছাড়া আজাদ জম্মু-কাশ্মীর, গিলগিট-বালতিস্তান, মালাকান্ড ও হাজারা বিভাগের প্রধান প্রধান সড়ক ও মহাসড়কগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বন্ধ হওয়ার তালিকায় রয়েছে কারাকোরামের মহাসড়কটিও। অন্যদিকে, তুষারপাতের কারণে খাইবার পাখতুনখোয়ার চিত্রল এলাকাটি প্রদেশটির অন্যান্য এলাকা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, দুর্গতদের মধ্যে হেলিকপ্টার থেকে জরুরি ত্রাণ ফেলতে দেখা গেছে।
আফগানিস্তানেও তীব্র ঠাণ্ডা ও ভারি তুষারপাতের ঘটনা ঘটেছে। আর এতে অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস। দেশটির কান্দাহার, হেলমান্দ, জাবুল ও হেরাত প্রদেশে হতাহতের ঘটনা বেশি হয়েছে। হেরাতে এক পরিবারের সাতজন মারা গেছে।
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার মাচিল সেক্টরে তুষারধসে নিহত অন্তত ১০ জনের মধ্যে পাঁচজনই সেনাসদস্য, এমনটা বলছে ভারতীয় পুলিশ।