তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা, লিথুয়ানিয়াকে সমর্থন দুই মার্কিন সিনেটরের
তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধির চেষ্টা করায় বাল্টিক রাষ্ট্র লিথুয়ানিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে চীন। এদিকে, লিথুয়ানিয়ার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে গত শুক্রবার একটি রেজল্যুশন পেশ করেছেন দুই মার্কিন সিনেটর। তাঁরা হলেন—রিপাবলিকান এবং মার্কিন সিনেটের ফরেন রিলেশনস কমিটির সদস্য জিম রিশ এবং ডেমোক্র্যাট এবং ফরেন রিলেশনস সাবকমিটি অন ইউরোপ অ্যান্ড রিজিওনাল সিকিউরিটি কো-অপারেশন-এর সভাপতি জিন শাহীন। সংবাদমাধ্যম তাইপে টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
রেজলুশনে তাইওয়ানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য লিথুয়ানিয়ার প্রশংসা করা হয়েছে। এ ছাড়া চীনের বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য সাহসী পদক্ষেপের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। লিথুয়ানিয়াকে সমর্থন এবং চীনা জবরদস্তি মোকাবিলা করতে বিশ্বের দেশগুলোকে উত্সাহিত করা হয়েছে।
সিনেটর জিম রিশ বলেন, ‘গত ২০ জুলাই লিথুয়ানিয়া সরকার রাজধানী ভিলনিয়াসে তাইওয়ানের প্রতিনিধি অফিস খুলেছে। এ সাহসী সিদ্ধান্তের পর থেকেই লিথুয়ানিয়া চীনের অগ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছে।’
লিথুয়ানিয়ান পার্লামেন্ট সেপ্টেম্বরে একটি আইন করার ফলে তাইওয়ানের মতো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই, এমন দেশগুলোতে প্রতিনিধি অফিস খোলার পথ তৈরি হয়েছে। তাইপে বলেছে, লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে একটি প্রতিনিধি অফিস খুলবে, যার নাম ‘তাইওয়ানিজ’ শব্দ দিয়ে হবে। অন্যান্য বিদেশি মিশনের মতো এর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। এরপরই বেইজিং কিছু লিথুয়ানিয়ান পণ্যের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে এবং লিথুয়ানিয়ায় চীনা রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করে নেয়।
মার্কিন রেজলুশনে বলা হয়, তাইওয়ানকে কূটনৈতিকভাবে বিচ্ছিন্ন করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোতে অংশ নিতে বাধা দিয়েছে চীন। রেজলুশনটির ক্ষেত্রে শুধু মার্কিন সিনেটের অনুমোদনের প্রয়োজন। কারণ, এটি মার্কিন কংগ্রেসের মতামতেরই অভিব্যক্তি।
তাইওয়ানের সঙ্গে লিথুয়ানিয়ার সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তার করার জন্য এটি ওয়াশিংটনের সর্বশেষ প্রচেষ্টা। গত আগস্টে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিসের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, তাইওয়ানের সঙ্গে ভিলনিয়াসের সম্পর্কের ক্ষেত্রে মার্কিন সমর্থন ‘আয়রন ক্লাড’-এর মতো। সেপ্টেম্বরে ব্লিনকেন গ্যাব্রিয়েলিয়াসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনের অর্থনৈতিক চাপের বিরুদ্ধে লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে।