মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর অভিশংসনে সাক্ষ্য দেওয়া দুই কর্মকর্তার বরখাস্তকে সমর্থন করেছেন। ট্রাম্পের অভিশংসন বিচারে সাক্ষ্য দেওয়ায় দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে শুক্রবার বরখাস্ত করা হয়।

এ দুজন হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) মার্কিন রাষ্ট্রদূত গর্ডন সন্ডল্যান্ড ও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের ইউক্রেন বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলেক্সান্ডার ভিন্ডম্যান।

বাসস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সিনেট থেকে অব্যাহতি পাওয়ার দুদিন পর ভিন্ডম্যানের এ অপসারণকে তাঁর আইনজীবী প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ হিসেবে বর্ণনা করেন।

এদিকে শনিবার এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ভিন্ডম্যানকে অবাধ্য হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘সত্যিকার অর্থে আমি তাকে চিনি না। কখনো তার সঙ্গে দেখা বা কথা হয়নি। কিন্তু সে খুবই অবাধ্য। আমার সঠিক ফোন কল নিয়ে সে ভুল তথ্য দিয়েছে।’

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে গত বছরের ২৫ জুলাই টেলিফোন করা থেকে অভিশংসনের সূত্রপাত ঘটে। অভিযোগ উঠেছে, এ সময় আগামী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য তাঁর ছেলে হান্টার বাইডেনের অতীত ব্যবসার ব্যাপারে তদন্তের জন্য জেলেনস্কিকে চাপ দেন ট্রাম্প।

অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে প্রতিনিধি পরিষদ। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার দুটি অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত সিনেটে অভিশংসন বিচারের শুনানি শেষে গত বুধবার ট্রাম্প অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পান।

এরপরই তিনি গর্ডন সন্ডল্যান্ড ও আলেক্সান্ডার ভিন্ডম্যানকে বরখাস্ত করেন। এছাড়া আলেক্সান্ডার ভিন্ডম্যানের যমজ ভাই লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়েভগেনি ভিন্ডম্যানকে হোয়াইট হাউস থেকে সেনা দপ্তরে ফেরত পাঠানো হয়।
এদিকে ডেমোক্রেট সিনেটর জ্যাক রিড শনিবার ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেন, ‘গর্ডন সন্ডল্যান্ড ও আলেক্সান্ডার ভিন্ডম্যানকে বরখাস্ত করে ট্রাম্প প্রশাসন এই আভাসই দিয়েছে যে সত্য বললে আর নিস্তার নেই। তাকে আর সহ্য করা হবে না।’