করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদনের আবেদন জানাল মডার্না
এবার সম্ভবত অপেক্ষা দিন শেষ হতে চলেছে। কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ। মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা মডার্না জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে আবেদন জানিয়েছে। অনুমতি পেলেই তারা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু করে দেবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) এবং ইউরোপিয়ান মেডিসিনস এজেন্সি মডার্নার পক্ষ থেকে জরুরি ভিত্তিতে ভ্যাকসিন প্রয়োগের আবেদন পেয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বারবার বলছিলেন, করোনার ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। খুব তাড়াতাড়ি সেই প্রতিষেধক পাবেন দেশটির মানুষ। বিদায়ী প্রেসিডেন্টের এই কথাটি অন্তত ঠিক হতে চলেছে।
নিজেদের তৈরি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের ট্রায়ালের (পরীক্ষা) চূড়ান্ত ফলাফল আসার পর জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পেতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন করেছে মডার্না।
ভ্যাকসিনটি করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে ৯৪ দশমিক ১ শতাংশ কার্যকর এবং এর মারাত্মক কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে ট্রায়ালের চূড়ান্ত ফলাফলের বরাতে জানিয়েছে মার্কিন কোম্পানিটি।
ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা নিয়ে মডার্নার চিফ মেডিকেল অফিসার ড. টাল জ্যাকস বলেন, ‘আমরা মনে করি আমাদের ভ্যাকসিন অত্যন্ত কার্যকর। এটি প্রমাণ করার মতো তথ্য এখন আমাদের কাছে আছে।’
‘আমরা আশা করি করোনা মহামারি ঠেকাতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে,’ যোগ করেন টাল জ্যাকস।
জ্যাকস জানান, গত সপ্তাহে ৯৪ দশমিক এক শতাংশ কার্যকারিতার ফলাফল দেখে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলেন।
মডার্নার করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন সরবরাহ শুরু হলে প্রথম দিকেই কানাডা তা পাবে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি। গতকাল সোমবার মডার্নার প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা টাল জ্যাকস এ কথা জানান। কানাডার পত্রিকা দ্য গ্লোব অ্যান্ড মেইল এ খবর দিয়েছে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এর আগে বলেছিলেন, করোনার টিকা আসার পরও এটি পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে কানাডার নাগরিকদের। এতে বেশ সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রুডো।
মডার্নার টিকার অনুমোদন সম্পন্ন হলে প্রথম দিককার চালানের বিরাট অংশ কানাডা পাবে উল্লেখ করে টাল জ্যাকস বলেন, ‘আশা করি, ২০২১ সালের প্রথম অথবা দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কানাডায় টিকা যাবে। তালিকায় শুরুর দিকেই রয়েছে কানাডার নাম।’
কানাডা সরকার মডার্না থেকে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ এবং ফাইজার ও বায়োএনটেকের কাছ থেকে দুই কোটি করোনার টিকা কিনবে বলে জানানো হয়েছে। তবে টিকা হাতে পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্য দেশগুলোর চেয়ে পিছিয়ে থাকার খবরে সরকার বেশ বেকায়দায় পড়েছে। ব্যাপক সমালোচনা শুনতে হচ্ছে ট্রুডো সরকারকে।