‘আইনের মারপ্যাঁচে’ জার্মানির ২ লাখ মাস্ক নিলেন ট্রাম্প
বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেই জার্মানির দুই লাখ ফেস মাস্ক হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। কোরিয়া যুদ্ধের সময়কার একটি আইনের বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এমনটি করেছেন।
বার্লিনের আঞ্চলিক সরকার জানায়, বার্লিন পুলিশ ফোর্স যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানির কাছে এফএফপি২ মাস্কগুলোর অর্ডার করেছিল। কোম্পানি সেগুলো চীন থেকে তৈরি করে।
তারপর মাস্কগুলোর চালান জার্মানি যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয় বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ফলে মাস্কগুলো আর তাদের গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
জার্মানি এমন প্রবণতাকে ‘আধুনিক দস্যুতা’ বলে উল্লেখ করেছে। এ ধরনের ‘বন্য-পশ্চিমী পদ্ধতি’ থাকা উচিত নয় উল্লেখ করে জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রেস গেসেল বলছেন, মাস্কগুলো যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ফ্রান্স ও কানাডার কাছ থেকেও একই ধরনের অভিযোগ এসেছে।
তবে শুক্রবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো যাতে দেশের চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখতে পারে, তাই তিনি প্রতিরক্ষা উৎপাদন আইন ব্যবহার করেছেন।
হোয়াইট হাউসের করোনাভাইরাস টাস্কফোর্সের দৈনিক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্যবহারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে এগুলো আমাদের প্রয়োজন। এগুলো আমাদের লাগবে।’
এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো জানান, মার্কিন কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে দুই লাখ এন৯৫ রেসপিরেটর এক লাখ ৩০ হাজার সার্জিক্যাল মাস্ক এবং ছয় লাখ হ্যান্ড গ্লাভস বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে এসব জিনিস কোথা থেকে তাদের হাতে এসেছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
জার্মানির আগে ফ্রান্সের রাজনীতিবিদরা অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র চীনে তৈরি করা কিছু ফেস মাস্ক ও চিকিৎসা সরঞ্জাম এই আইনের বলে কিনে নিয়েছে। আদতে এগুলো ফ্রান্স অর্ডার দিয়ে তৈরি করিয়েছিল।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোও বলছেন, যে সংখ্যক মাস্ক তৈরির জন্য অর্ডার করা হয়েছিল, তার চেয়ে কম এসেছে দেশে। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের যা প্রয়োজন রয়েছে, কানাডারও তার কম কিছু নয়। করোনা মোকাবিলায় সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।