ঘুড়ির ঘুরে বেড়ানোর ১ বছর

Looks like you've blocked notifications!
বান্দরবানের কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়ায় ঘুড়ি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজমের একটি ইভেন্টের গ্রুপ ছবি । ছবি : সংগৃহীত

পাহাড়, জঙ্গল বা সমুদ্রে বেড়াতে গিয়ে বিশ্রাম নেওয়া কিংবা প্রকৃতির সঙ্গ উপভোগ করা দেশের অধিকাংশ তরুণের মধ্যে খুব জনপ্রিয়।

পাহাড়ে নতুন নতুন পথ বা ঝর্ণা খুঁজে বের করা, এগুলোর উৎস অনুসন্ধান করা, দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে কোনো গন্তব্যে যাওয়া, প্রতিকূল পরিবেশে তাঁবু গেড়ে থাকা, নানা ধরনের দুঃসাহসিক বা একটু ঝুঁকিপূর্ণ কাজ, যার মধ্যে একটা অভিযানে বের হওয়ার আনন্দ বা রোমাঞ্চ আছে, সেগুলো করার ব্যাপারেও বর্তমানের তরুণ পর্যটকদের আগ্রহ বেশি। ফলে ছুটি পেলেই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন দেশ-বিদেশের উদ্দেশে।

বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের হিসাব অনুযায়ী, বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে যাঁরা দেশের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ান, তাঁদের প্রায় ৪০ শতাংশই তরুণ। তবে অনেকই জানেন না, দেশের ভেতরে কিংবা বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কীভাবে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়? কোন দেশে যাওয়ার জন্য কোথায় যোগাযোগ করতে হয়? কোথা থেকে কেমন সেবা বা সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যায়? এ ছাড়া বিদেশ ভ্রমণের আগে করণীয়ই বা কী?

সেসব ভ্রমণপিপাসুকে নিয়ে এক বছর ধরে দেশে ও দেশের বাইরে ভ্রমণ করে চলছে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ঘুড়ি। এই এজেন্সির মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে দেশ-বিদেশে ভ্রমণের সেবা।

২০১৮ সালের ৭ জুলাইয়ে যাত্রা শুরু করে ঘুড়ি। এরই মধ্যে নিজেদের ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে দুই শতাধিক ভ্রমণকারীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান ও থাইল্যান্ড ঘুরে এসেছে।

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭ জুলাই রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঘুড়ি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম। ছবি : সংগৃহীত

এক বছর পূর্তি উপলক্ষে ৭ জুলাই রোববার রাজধানীর ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে একটি পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ঘুড়ি ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম। ঘুড়ির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ঘুড়ির প্রতিষ্ঠাতা আতিফ আসলাম বলেন, 'লেখাপড়া শেষে সবাই যখন ক্যারিয়ার নিয়ে ব্যস্ত, আমি তখন উড়নচণ্ডীর মতো ঘোরাঘুরি করি। ঘোরাঘুরির নেশাটা আসে যখন অষ্টম বা নবম শ্রেণিতে পড়ি। একটু সময় পেলেই বের হয়ে যেতাম অজানা কোনো গন্তব্যে। বন্ধুদের নিয়ে ছুটে যেতাম দেশ-বিদেশ। যান্ত্রিক নগরজীবনের বেড়াজালে সব সময় বন্ধুদের পাওয়া যেত না। তাই বলে কি ঘোরাঘুরি করব না? তাই তো একাই চলে গিয়েছিলাম থাইল্যান্ড, ভারতে। মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়িয়েছি।'

'তখনই সিদ্ধান্ত নিই, যদি কিছু করি তাহলে ট্যুরিজম নিয়েই করব। সেই  ইচ্ছে থেকেই ট্যুরিজমকে পেশা বানানোর চেষ্টা। এই চলার পথে অনেককেই সঙ্গে পেয়েছি। ঘুড়ির পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ,' বলছিলেন আতিফ আসলাম।

নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যময় ভ্রমণ আয়োজনের জন্য ঘুড়িতে রয়েছে দক্ষ কর্মীবাহিনী। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে

গ্রুপ লিংকঃ https://www.facebook.com/groups/475462489544164/