জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় রুয়ান্ডায় ড্রোন
পূর্ব আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডায় জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় ড্রোন ব্যবহার শুরু হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে রক্ত ও প্লাজমা পরিবহনের কাজ করা হবে ড্রোন দিয়ে। ড্রোন ব্যবহার করে এটাই পৃথিবীর প্রথম বাণিজ্যিক স্বাস্থ্য পরিবহন সেবা। এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়া।
রুয়ান্ডার সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বেশ দুর্বল। অনেক জায়গা এত দুর্গম যে সেখানে অ্যাম্বুলেন্স বা গাড়ি পৌঁছানো সম্ভব নয়। আর এসব এলাকায় জরুরি প্রয়োজনে ড্রোন ব্যবহার করা হবে।
প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট রিকোড জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক ড্রোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জিপলাইন, ইউপিএস ফাউন্ডেশন ও গাভি নামের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান মিলে এই কার্যক্রম শুরু করেছে।
আর এই জরুরি ড্রোন পরিবহন সেবার ব্যয়ভার বহন করবে রুয়ান্ডার সরকার। মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রক্ত ও প্লাজমা পরিবহনে যে খরচ হতো সেই পরিমাণ খরচ দিয়েই ড্রোনের মাধ্যমে রক্ত ও প্লাজমা জরুরি ভিত্তিতে পরিবহন করা যাবে।
সিএনএন মানির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর আগে কোনো জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্যসেবা পেতে কমপক্ষে চার ঘণ্টা সময় লাগত। ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ মিনিটের মধ্যেই যেকোনো স্থানে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা উপকরণ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
রুয়ান্ডার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী জ্যঁ ফিলবার্ট সেনগিমানা বলেন, ‘কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমাদের জরুরি স্বাস্থ্যসেবার অবস্থা আসলেই বেশ হতাশাজনক ছিল। বর্ষাকালে অনেক রাস্তা একেবারেই ব্যবহার অনুপোযোগী হয়ে পড়ে। এর ফলে জরুরি প্রয়োজনে রক্ত পরিবহন করাও মুশকিল হয়ে পড়ত।’
রুয়ান্ডার হেলথ কমিউনিকেশন সেন্টারের প্রধান মালিক কায়ুম্বা বলেন, ‘আমরা সত্যিই গর্ববোধ করছি যে স্বাস্থ্যসেবায় এ ধরনের উন্নত যোগাযোগ প্রযুক্তি আমরাই প্রথম ব্যবহার করা শুরু করেছি।’