সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকিতে শীর্ষে গণমাধ্যমকর্মীরা
খবরের প্রয়োজনে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যম কিংবা বিভিন্ন ফটো শেয়ারিং সাইটে অনুসন্ধানী চোখ নিয়ে নিয়ত ঢুঁ মারতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। এ ছাড়া অনলাইন থেকে পাওয়া খবর, অডিও, ভিডিও ক্লিপ অথবা ছবি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সূত্রের বিশ্বাসযোগ্যতা, সত্যতা যাচাই করাটা দুরূহ হয়ে পড়ে।
আবার ভাইবার,স্কাইপেও নজর রাখতে হয় কাজের স্বার্থে। মোকাবিলা করতে হয়, মুঠোফোনে আসা নকল বার্তা কিংবা মেইল। এভাবেই তথ্য অনুসন্ধানের কৌতূহলের ভেলায় চেপে একজন গণমাধ্যমকর্মীকে প্রতিনিয়তই মুখোমুখি হতে হয় ভার্চুয়াল বিড়ম্বনার। কৌশল ও ব্যবহারিক কারণেই এই সময়ে সাইবার জগতে সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন দেশের সংবাদকর্মীরা। তাই সাংবাদিকদের এ বিষয়ে সচেতন হওয়া অনেক বেশি জরুরি।
আজ শনিবার রাজধানীতে একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে কথাগুলো বলেছেন সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ‘সাইবার অপরাধ সচেতনতা ও অনুসন্ধান’ শীর্ষক কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। তথ্যপ্রযুক্তি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান জাদুকর আইটির সহযোগিতায় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন’ (সিসিএ ফাউন্ডেশন) এবং ‘ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ’ (আইডিইবি)-এর যৌথ আয়োজনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের শতাধিক সংবাদকর্মী এই কর্মশালায় অংশ নেন।
কর্মশালায় সিসিএ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব কাজী মুস্তাফিজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আইডিইবির সাধারণ সম্পাদক মো. শামসুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার জ্যেষ্ঠ রিপোর্টার ও ক্রাইম রিপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) সাবেক সভাপতি খায়রুজ্জামান কামাল। কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট মেহেদী হাসান এবং আইনজীবী তানভীর হাসান জোহা।
কর্মশালায় দেশে সাইবার ঝুঁকির প্রকৃতি ও হামলা থেকে নিজেদের রক্ষার মৌলিক বিষয়ের ওপর আলোচনা করা হয়। একজন সাংবাদিক সাইবার অপরাধ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিতে কোন কোন কারিগরি কৌশলগুলো জানা দরকার,তা নিয়ে আলোচনা করেন মেহেদী হাসান।