অনুমতি ছাড়া ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের নেটওয়ার্ক প্যাটেন্ট ব্যবহারের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মোবাইল অপারেটর টি-মোবাইলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হুয়াওয়ে। এ ছাড়া স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছে চীনভিত্তিক প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ খবর জানানো হয়েছে। 

লাইসেন্স-সংক্রান্ত চুক্তি ছাড়াই ওয়্যারলেস ক্যারিয়ার বা নেটওয়ার্ক পরিচালনায় হুয়াওয়ের চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি ব্যবহার করায় যুক্তরাষ্ট্রের টেলিকম অপারেটর জায়ান্ট টি-মোবাইলের বিরুদ্ধেও গত ৭ জুলাই মামলা করেছে হুয়াওয়ে। 

অভিযোগে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ফোরজি বা চতুর্থ প্রজন্মের ডাটা নেটওয়ার্কের আওতায় জিপিআরএস এবং নিরাপত্তাবিষয়ক সেবাসহ মোট ১৪টি প্যাটেন্ট অনুমোদন ছাড়াই ব্যবহার করার দায়ে টি-মোবাইলের বিরুদ্ধে মামলা করে হুয়াওয়ে।

চতুর্থ প্রজন্মের সেলুলার কমিউনিকেশনস প্রযুক্তি বিনা অনুমতিতে ব্যবহারের দায়ে চলতি বছরের মে মাসে স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া ও চীনের শেনঝেনেও মামলা দায়েরের পর চীনের গোয়াংজুতেও মামলা করে হুয়াওয়ে। 
   
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশে সফলতার সঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি স্মার্টফোনের বাজারে দ্রুততার সঙ্গে বিস্তার লাভ করছে হুয়াওয়ে। গত ২০ বছর তথ্যপ্রযুক্তি খাতের অবকাঠামো এবং গবেষণা ও উন্নয়নে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগের পাশাপাশি কাজ করছে হুয়াওয়ে। গবেষণা ও উন্নয়নে হুয়াওয়ে গত বছর বিনিয়োগ করেছে প্রতিষ্ঠানটির মোট বার্ষিক আয়ের শতকরা ১৫ ভাগ (৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। এ ছাড়া গত ১০ বছরে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করেছে প্রায় ৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। 

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেলিকমিউনিকেশনস পণ্য  নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে গত বছর চীনে ৫২ হাজার ৫৫০টি এবং সারা বিশ্বে ৩০ হাজার ৬১৩টি প্যাটেন্ট আবেদন জমা দেয়। ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অর্গানাইজেশনের দেওয়া তথ্যমতে, গত বছর হুয়াওয়ে প্যাটেন্ট আবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে শীর্ষে রয়েছে। 

অন্যদিকে ইউরোপিয়ান প্যাটেন্ট অর্গানাইজেশনের তথ্যমতে, ইউরোপে প্যাটেন্ট আবেদন জমাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর তালিকায় হুয়াওয়ে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে।