হোয়াইট হাউসে নতুন প্রযুক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সেই প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং বাসস্থানের নাম হোয়াইট হাউস।
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত হোয়াইট হাউসকে বিশ্বের ক্ষমতার কেন্দ্র বললে ভুল হবে না বোধ হয়।
সম্প্রতি সেই ক্ষমতাবান হোয়াইট হাউসের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে নিউইয়র্ক টাইমস। সেই প্রতিবেদনে বেশকিছু মজার তথ্য উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮৫ সালে হোয়াইট হাউসে প্রথম স্পিকারফোনের ব্যবহার শুরু হয়। ডেস্কটপ কম্পিউটারের ব্যবহার শুরু হয় গত শতকের নব্বইয়ের দশকে। একইসঙ্গে সাদা-কালো প্রিন্টারের ব্যবহার শুরু হয় যেসব প্রিন্টার শুধু কাগজের এক পাশেই প্রিন্ট করতে পারত।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিমান ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’ থেকে হোয়াইট হাউসে যোগাযোগের প্রথম যে ইন্টারনেট যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল তার গতি নাকি ডায়াল-আপ মডেম কানেকশনের চেয়েও ধীরগতির ছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ধরনের পুরোনো প্রযুক্তি ও ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগের কারণ নাকি আমলাতান্ত্রিক জটিলতা।
চারটি আলাদা সংস্থা মিলে হোয়াইট হাউসের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিষয়গুলো দেখভাল করে। এসব সংস্থা হলো এক্সিকিউটিভ অফিস অব দ্য প্রেসিডেন্ট, ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল (এনসিএ), সিক্রেট সার্ভিস ও হোয়াইট হাউস কমিউনিকেশন এজেন্সি। আর এসব প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত কার্যক্রমের কারণেই মাঝে মাঝে হোয়াইট হাউসে প্রযুক্তি আপগ্রেড করতে সময় লাগে। তবে এই জটিলতার মধ্যেও প্রেসিডেন্ট ওবামা তাঁর কর্মীদের নতুন উপহার দিয়েছেন।
ওবামার নির্দেশে এই কাজ দেখভাল করছেন ডেভিড রেকর্ডন। এর আগে ফেসবুকের সদর দপ্তরের জন্য অভ্যন্তরীণ প্রযুক্তি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপন করেছিলেন তিনি।
প্রযুক্তি আপগ্রেড করতে গিয়ে হোয়াইট হাউসের দেয়াল থেকে পাঁচ হাজার ৮৯৬ কেজি অব্যহৃত কেবল বা তার সরিয়েছেন রেকর্ডন।
দ্রুতগতির ওয়াই-ফাই সংযোগ দেওয়া হয়েছে এখন হোয়াইট হাউসে। নতুন কালার প্রিন্টার দিয়ে সাদা-কালো প্রিন্টারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
আর কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে চকচকে নতুন আইফোন। এর আগে পুরোনো ব্ল্যাকবেরি ফোন ব্যবহার করতে হতো তাঁদের।
তবে প্রেসিডেন্ট ওবামা অবশ্য আইফোন নেননি। তিনি পুরোনো ব্ল্যাকবেরি ফোনটিই ব্যবহার করেন।
হোয়াইট হাউসের পুরোনো ডেস্কটপগুলো সরিয়ে নতুন ডিজাইনের ডেস্কটপ বসানো হয়েছে। যাতে যোগ করা হয়েছে এই সময়ের দ্রুতগতির প্রসেসর। আর হোয়াইট হাউসের প্রযুক্তি আপগ্রেডের এই পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে সময়ে লেগেছে পাক্কা দুই বছর।