সূর্যগ্রহণ দেখতে মেরুর কাছে
সূর্যগ্রহণ দেখতে উত্তর মেরুর কাছের দুটি দ্বীপে গতকাল শুক্রবার ভিড় জমায় হাজারো দর্শনার্থী। তবে মেঘের কারণে অনেক দর্শনার্থী এই নৈসর্গিক দৃশ্য থেকে বঞ্চিত হন। মেরুর দ্বীপ ছাড়াও ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়া থেকে আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে।
গতকাল শুক্রবার সূর্যগ্রহণ দেখতে নরওয়ের প্রত্যন্ত সেভালভার্ড দ্বীপে জড়ো হয় হাজারো পর্যটক। এসব পর্যটককে তীব্র ঠাণ্ডা ও মেরুর ভালুক সম্পর্কে আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে বৃহস্পতিবারও ভালুকের হামলার ঘটনা ঘটে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে পর্যটকরা উপভোগ করে আড়াই মিনিটের সূর্যগ্রহণ। হাজারো মানুষ উপভোগ করে চাঁদ সূর্যকে গ্রাস নেওয়ার দৃশ্য।
হর্ষধ্বনি ও হাততালিতে মুখরিত হয় বরফে ঢাকা প্রত্যন্ত দ্বীপ।
রয়টার্স জানিয়েছে, নরওয়ের কাছে ফারো দ্বীপের রাজধানী তেওশাংয়েও পূর্ণ সূর্যগ্রহণ দেখা যাওয়ার কথা ছিল। তবে সেখানকার পরিবেশ প্রতিকূল থাকায় ও আকাশে মেঘের কারণে অনেকেই সূর্যগহণ দেখা থেকে বঞ্চিত হন।
ফারো দ্বীপে সূর্যগ্রহণ দেখতে আসা হাঙ্গেরির পর্যটক গ্যাবর ল্যানটোস বলেন, সেখানে টানা বৃষ্টি হচ্ছিল বায়ুপ্রবাহও ছিল প্রচণ্ড। সেখানে যাওয়া সব পর্যটকের জন্য বিষয়টি ছিল আশাহতের।
অনেক পর্যটক ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সূর্যগ্রহণ দেখানোর আয়োজকদের ওপর। তাঁদের অনেকে আয়োজকদের কাছে অর্থ ফেরত চান। আবার অনেক পর্যটক হঠাৎ অন্ধকার দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার পর্যটক মাইকেল টংক সূর্যগ্রহণের সময়কার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, সূর্যগ্রহণকালে হঠাৎ করেই পুরো এলাকা অন্ধকার হয়ে ওঠে। রাস্তার বাতি জ্বলে ওঠে। মিনিট কয়েক পরেই সব স্বাভাবিক। অস্ট্রেলিয়া থেকে সেখানে আসা সার্থক হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।
নরওয়ের সেভালভার্ড দ্বীপে জড়ো হওয়া পর্যটকরা ভালোভাবেই সূর্যগ্রহণ দেখতে পেয়েছেন। তবে তাঁদের যাত্রাও নিষ্কণ্টক ছিল না। সূর্যগ্রহণের একদিন আগে বৃহস্পতিবার রাতে এক পর্যটক মেরু ভালুকের আক্রমণের শিকার হন। তিনি মুখ ও হাতে আঘাত পান। হেলিকপ্টারে করে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সূর্যগ্রহণ দেখতে প্রায় মানবশূন্য দুটি দ্বীপেই হাজারো মানুষ জড়ো হয়। ফারো দ্বীপাঞ্চলে প্রায় আট হাজার পর্যটক এসেছে। আর নরওয়ের সেভালভার্ড দ্বীপের জনসংখ্যা পর্যটকদের কারণে দ্বিগুণ হয়ে ওঠে।