ফিরে আসছে গোল ইনক্যানডেসেন্ট বাতি
গোল কাঁচের ‘ইনক্যানডেসেন্ট’ বাতির কথা মনে আছে। আগে প্রায় সব বাসা-বাড়িতেই এই বাতি দেখা যেত। নাইট্রোজেন গ্যাস ভরা গোলাকৃতির কাঁচের ফিলামেন্টের মধ্যে জ্বলজ্বল করত তারের ট্যাংস্টেন। আবার ফিরে আসতে পারে এই বাতি। কারণ প্রচলিত সব বাতির চেয়ে কম বিদ্যুতে চলে এমন ইনক্যানডেসেন্ট বাতি উদ্ভাবন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা।
এক দশক আগেও প্রায় সব স্থানেই ইনক্যানডেসেন্ট বাতি জ্বলত। তবে বেশি আলো দেওয়ার লক্ষ্যে আসে টিউব লাইট। আর বিদ্যুৎ খরচ কমানোর লক্ষে বিশ্বব্যাপী ইনক্যানডেসেন্ট বাতির স্থান দখল করে নেয় ‘এনার্জি সেভিং’ বাতি। বিদ্যুৎ খরচ আরো কমাতে আসে লাইট ইমিটিং ডায়োড বা এলইডি বাতি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকদের তৈরি নতুন ইনক্যানডেসেন্ট বাতি এলইডির চেয়েও কম বিদ্যুৎ খরচ করে।
নতুন বিদ্যুৎসাশ্রয়ী ইনক্যানডেসেন্ট বাতি তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসচুসেটস ইউনিভার্সিটির একদল গবেষক। আগেই ইনক্যানডেসেন্ট বাতিতে অনেক শক্তি তাপ শক্তিতে নষ্ট হয়ে যেত। নতুন বাতিতে এই শক্তিতে পুনর্ব্যবহারের ব্যবস্থা করেছেন গবেষকরা।
গবেষকরা বলেন, নতুন ধরনের ইনক্যানডেসেন্ট বাতির ফিলামেন্ট ক্রিস্টালের। বিশেষ গঠনের এই নষ্ট হয়ে যাওয়া শক্তি আবার ব্যবহার হয়।
কেন আবার ইনক্যানডেসেন্ট?
বিদ্যুৎ বেশি ব্যবহার করায় গোলাকৃতির ইনক্যানডেসেন্ট বাতির জায়গায় স্থান করে নিয়েছে ইনার্জি সেভিং ও এলইডি বাতি। তবে ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই দুটি বাতি নিয়ে ভোক্তাদের নানা অভিযোগ আছে। অনেক ব্যবহারকারীই আগের ইনক্যানডেসেন্ট বাতির পক্ষে। তবে এ ক্ষেত্রে বড় বাঁধা বিদ্যুৎ অপচয়। এই অপরচয়ের বিষয়টি না থাকলে আবার ফিরে আসতে পারে ইনক্যানডেসেন্ট বাতি, তবে অবশ্যই নতুন রূপে।
গবেষকরা বলেন, আগেই ইনক্যানডেসেন্ট কর্মদক্ষতা ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৫ শতাংশ বিদ্যুৎশক্তিই নষ্ট হতো। পরে এদের স্থান করে নেওয়া এলইডি বা ফ্লুরোসেন্ট বাতির কর্মদক্ষতা ছিল ১৪ শতাংশের মতো। তবে নতুন ধরনের ইনক্যানডেসেন্ট বাতির কর্মদক্ষতা হবে ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ বর্তমানে প্রচলিত এনার্জি সেভিং বা এলিইডির চেয়েও দ্বিগুণেরও বেশি সাশ্রয়ী হবে নতুন ইনক্যানডেসেন্ট।