হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসা করবে না প্যানাসনিকও

Looks like you've blocked notifications!

চীনভিত্তিক শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার তালিকায় যুক্ত হলো আরেকটি বড় নাম। গুগল, ইনটেল, কোয়ালকম ও লুমেনটামের মতো বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের দেখানো পথে হাঁটল প্যানাসনিকও।

গত ১৫ মে ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে হুয়াওয়েকে যুক্তরাষ্ট্রে ‘কালো তালিকাভুক্ত’ করে। এর ফলে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কোনো মার্কিন সংস্থা থেকে প্রযুক্তিসেবা নেওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায় হুয়াওয়ের জন্য।

যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক প্রতিষ্ঠান চীনের এ বড় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিন্ন করা শুরু করে।

এদিকে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও হুয়াওয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদের জন্য চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে সমর্থন করে হুয়াওয়ের সঙ্গে ব্যবসায়িক সম্পর্ক চুকিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে আরেক টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইফোনকে কারিগরি সহায়তা দেওয়া ব্রিটিশ কোম্পানি এআরএম হোল্ডিংস।

এদিকে হুয়াওয়ের এমন দুর্দিনের ফায়দা ওঠানোর সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর সামনে।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করার সুযোগ সীমিত হওয়ায় চীনের বাইরে হুয়াওয়ে স্মার্টফোনের বাজারের ভাটা পড়ার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।  

আর এ সুযোগে বাজারে আরো ভালোভাবে জায়গা করে নিতে পারে স্যামসাং, শাওমি ও অপোর স্মার্টফোন।

তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি এশিয়া-প্যাসিফিকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান ম্যাক মা বলেন, ‘(নিষেধাজ্ঞার কারণে) বিদেশি বাজারে হুয়াওয়ে আগামীতে যে ফোনগুলো আনবে, সেগুলোর একেকটি পেপারওয়েট ছাড়া আর কিছু হবে না।’

অবশ্য হুয়াওয়ের ওপর আরোপিত কিছু বিধিনিষেধ তিন মাসের জন্য শিথিল করেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন এই অনুমোদন প্রক্রিয়া অনুযায়ী হুয়াওয়ে টেকনোলজিসকে বাজারে থাকা হুয়াওয়ে হ্যান্ডসেটগুলোর জন্য বিদ্যমান নেটওয়ার্ক ও সফটওয়্যার আপডেটের সুবিধার্থে মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি পণ্য কেনার সুযোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিভাগ। তবে হুয়াওয়েকে নতুন স্মার্টফোন মার্কিন প্রতিষ্ঠানের তৈরি যন্ত্রাংশ কেনার অনুমতি দেবে না।