ফ্লিপকার্টকে ধোঁকা, ২০ লাখ রুপির পণ্য হাওয়া!
অনলাইনভিত্তিক ই-কমার্স সাইটগুলোর বিরুদ্ধে প্রায়ই নানা ধরনের প্রতারণার অভিযোগ শোনা যায়। তবে এর ব্যতিক্রমও হয় বটে! ফ্লিপকার্টের মতো জায়ান্ট ই-কমার্স সাইটের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ২০ লাখ রুপির পণ্য হাতিয়ে নিয়েছেন হায়দ্রাবাদের বনস্থালিপুরম নিবাসী বীরা স্বামী। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা গেল এই চমকপ্রদ জালিয়াতির সবিশেষ।
বীরা স্বামী (৩২) তাঁর এই জালিয়াতির মাধ্যমে ফ্লিপকার্টে ২০০-এর মতো পণ্য অর্ডার করেছেন। এ কাজের জন্য তিনি অজস্র ভুয়া ইমেইল অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতেন। পণ্যের জন্য পেমেন্ট করতেন বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে। তিনি পণ্যের জন্য অর্ডার করতেন, তারপর পণ্য তাঁর কাছে পৌঁছালে সেটি ‘নিম্নমানসম্পন্ন’ কিংবা ‘খারাপ’ এ ধরনের অভিযোগে আবারও ফেরত দিয়ে দিতেন। এরপর পণ্যের জন্য দেওয়া টাকা আবারও তাঁর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরতও চলে আসত। তাহলে জালিয়াতিটা তিনি কীভাবে করতেন, সেটাই প্রশ্ন।
বীরা স্বামী পণ্য হাতে পাওয়ার পরে আসল পণ্যটি ঠিকই নিজের কাছে রাখতেন, বদলে বাক্সের মধ্যে নিম্নমানের একই পণ্য ভরে দিতেন। সেই পণ্যটির সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই সঠিক কোড নম্বর অথবা আইএমইআই নম্বর মিলত না। আর নকল পণ্যগুলো যে নিম্নমানের, তা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। কাজেই তিনি যখন নিম্নমানের বা নকল পণ্যের অভিযোগে সেগুলো ফেরত পাঠাতেন, প্রতিষ্ঠানেরও সেই অভিযোগ অস্বীকার করার কোনো উপায় থাকত না! মাঝে আসল পণ্যটি ঠিকই তিনি পেয়ে যেতেন। দীর্ঘদিন এরকম চলার পর বিষয়টি ফ্লিপকার্ট কর্তৃপক্ষ টের পায়। এরপরই হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন বীরা স্বামী। ফ্লিপকার্টের বক্তব্য, গত ২০ মাসে প্রায় ২০ লাখ রুপির পণ্য হাতিয়ে নিয়েছেন এই ব্যক্তি।
ফ্লিপকার্টের হায়দ্রাবাদ প্রতিনিধি বনস্থালিপুরম পুলিশের কাছে এরই মধ্যে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগটি খতিয়ে দেখছেন সেখানকার পুলিশ কর্মকর্তা পুষ্পন কুমার। বিষয়টি গুরুত্ব নিয়ে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।