‘এটা আমার ভুল’
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পরিচালনার জন্য আরেকবার সুযোগ চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘এটি বড় ধরণের ভুল। এটা আমার ভুল।’
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মার্ক জাকারবার্গ।
তথ্য ফাঁস করার দায় স্বীকার করে জাকারবার্গ বলেন, ‘মানুষ ভুল করে আর সেই ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।’ তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য শিক্ষা।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক জানিয়েছে, তাঁদের আট কোটি ৭০ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে। যার মধ্যে ১১ লাখ অ্যাকাউন্ট যুক্তরাজ্যভিত্তিক। লন্ডনের রাজনৈতিক পরামর্শবিষয়ক প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা অবৈধভাবে এসব তথ্য পেয়েছিল।
ফেসবুকের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক স্ক্রফারের ব্লগে প্রকাশ করার পর নতুন এই তথ্য উঠে আসে। এর আগে তথ্য ফাঁসকারী ক্রিস্টোফার উইলি জানিয়েছিলেন, এই সংখ্যা ছিল পাঁচ কোটি।
ফেসবুকপ্রধান মার্ক জাকারবার্গ জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা আর না ঘটে, সেজন্য বেশ কিছু পরিবর্তন আনবেন তাঁরা। এর আগে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা ফেসবুকের মাধ্যমে কোটি মানুষের তথ্য ব্যবহারের কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জাকারবার্গ জানান, এর আগে তিনি ধারণা করতেন মানুষকে যে ‘টুল’ দেওয়া হচ্ছে, তা কীভাবে ব্যবহার করা হবে তার দায়িত্ব তাঁদেরই। তিনি বলেন, ‘এই অবস্থান ভুল ছিল।’
জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা বুঝতে পেরেছি আমাদের দায়দায়িত্বের ব্যাপারে বৃহৎ পরিসরে দেখতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সেটা হলো যে, আমরা কেবল টুল তৈরি করছি না, এই টুল মানুষ কীভাবে ব্যবহার করবে, তার পরিণামেরও পূর্ণ দায়িত্ব আমাদের নিতে হবে।’
বিবিসি জানিয়েছে, ‘দিস ইজ ইয়োর ডিজিটাল লাইফ’ নামে একটি কুইজভিত্তিক অ্যাপের মাধ্যমে এসব তথ্য প্রকাশ হয়েছে বলে ধারণা করছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। সামাজিক মাধ্যমটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা মাইক শোফার তাঁর ব্লগে এ খবর প্রকাশ করেন।
ফেসবুক ধারণা করছে, তিন লাখ পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ এ অ্যাপটি ব্যবহার করেছেন। এর আগে জানানো হয়, অ্যাপটি দুই লাখ ৭০ হাজার জন ব্যবহার করে। এর মধ্যে প্রায় ৯৭ ভাগ ব্যবহারকারী যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী। এ ছাড়া এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ রয়েছেন, যাঁরা থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে।
যুক্তরাজ্যের তথ্য কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে এই বিষয়ের তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে তা যাচাই-বাছাই করতে হবে।