অযাচিত শব্দ থেকে মুক্তি দেবে ওয়্যারলেস ইয়ারবাড
ধরা যাক, আপনি হেডফোনে গান শুনছেন কিংবা কথা বলছেন কারো সঙ্গে। কিন্তু আশপাশের হট্টগোলে ঠিকমতো কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না। বিরক্ত লাগাটাই তখন স্বাভাবিক। এ সমস্যার সমাধান করতে এবার আসছে নতুন ধরনের ইয়ারবাড।
এর মাধ্যমে আপনি আশপাশের পরিবেশের অযাচিত শব্দ বাদ দিয়ে বা কমিয়ে নির্বিঘ্নে শুনতে পারবেন গান অথবা কথা বলতে পারবেন অপর প্রান্তের মানুষটির সঙ্গে। প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ‘ডপলার ল্যাবস’ এই নতুন ধরনের ওয়্যারলেস ইয়ারবাড নিয়ে আসছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল।
ডপলারের এই ইয়ারবাডগুলো অ্যালগরিদমের জটিল হিসাব-নিকাশের মাধ্যমে নির্ণয় করবে, শ্রোতা কোন শব্দ শুনতে চায় আর কোনটি তাকে বিরক্ত করে। একটি স্মার্টফোন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে অযাচিত শব্দের ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে শ্রোতাকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত শব্দ শোনাবে ইয়ারবাডগুলো।
আর এই পুরো ব্যাপারটিতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মাইক্রোসেকেন্ড! উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কনসার্টে বা বিমানে আশপাশের উচ্চ শব্দ নিয়ন্ত্রণ করে এই ইয়ারবাড ব্যবহারকারীরা দিব্যি তাঁর পছন্দের গান শুনতে পারবেন বা ফোনে কথা বলতে পারবেন।
চলতি বছরগুলোতে ব্লুটুথ হেডসেট বা এ ধরনের ডিভাইসের চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। ডপলারের ইয়ারবাডগুলো সেদিক দিয়ে প্রচলিত যেকোনো ডিভাইসের থেকে আলাদা। লাইভ নেশন এন্টারটেইনমেন্ট, ডব্লিউএমই বা ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রায় ১৭ মিলিয়ন ডলার অনুদান পেয়েছে ডপলার এই ইয়ারবাড তৈরির জন্য।
অবশ্য ১৯৯ মার্কিন ডলার মূল্যের এই ইয়ারবাড কবে নাগাদ বাজারে ছাড়া হবে, সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানা যায়নি।
ডপলার ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী নোহা ক্রাফট এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা এমন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখি, যেখানে মানুষ পরস্পরের সঙ্গে কম্পিউটার, স্পিকার প্রভৃতির সাহায্যে আরো কার্যকরভাবে কথা বলতে পারবে। আর আমাদের প্রতিষ্ঠান এ লক্ষ্য পূরণে কাজ করে যাচ্ছে।’