লন্ডন থেকে এক ঘণ্টায় নিউইয়র্ক!
কনকর্ড বিমানের কথা মনে আছে? পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুতগতির এই যাত্রীবাহী বিমান একসময় ছিল দারুণ আকর্ষণীয় এক আকাশযান। প্রায় এক যুগ আগে ২০০৩ সালে কনকর্ড শেষবারের মতো আকাশে উড়েছিল। এবার ইউরোপ-আমেরিকার আকাশে উড়তে যাচ্ছে কনকর্ডের চেয়েও দ্রুতগামী নতুন এক যাত্রীবাহী বিমান। ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা স্কাই নিউজ এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিমান নির্মাতা ফরাসি প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবাস’ এই নতুন বিমান নির্মাণের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেছে। এরই মধ্যে তারা এই বিমানের নকশার পেটেন্ট বিষয়ক কাগজও জমা দিয়েছে। নতুন এই বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘কনকর্ড মার্ক-২’।
শব্দের থেকেও চার গুণ বেশি গতিসম্পন্ন এই বিমান বর্তমান বিশ্বের যেকোনো বিমানের গতিকে রীতিমতো তুচ্ছ করার ক্ষমতা রাখবে। গবেষকরা বলছেন, মাত্র এক ঘণ্টার ভেতরে লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে পাড়ি জমাতে সক্ষম এই বিমান।
দ্রুতগতির এই বিমান নিয়ে যেসব প্রকৌশলী কাজ করেছেন, তাঁদের মতে, বর্তমানে যেখানে প্যারিস থেকে টোকিও যেতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লাগে, সেখানে এই বিমানের সময় লাগবে মাত্র তিন ঘণ্টা! লক্ষাধিক ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম বিমানটি।
অবশ্য এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই বিমান শুধু বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মানুষের কথা চিন্তা করেই বানানো হচ্ছে। অর্থাৎ হোমরাচোমরা ব্যবসায়ী কিংবা রাজনীতিবিদ, যাঁদের সময়ের দাম অত্যন্ত বেশি, তাঁদের চাহিদা পূরণ করার কথা মাথায় রেখে বানানো হয়েছে এই বিমান।
মাত্র ২০ জন যাত্রী বহন করতে পারবে কনকর্ড মার্ক-২। তাই এটি হয়তো আর বাকি ১০টি বিমানের মতো বাণিজ্যিকভাবে যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে না। এর আগে এয়ারবাস আর ব্রিটিশ এয়ারক্রাফট করপোরেশনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত কনকর্ড ২৭ বছর ধরে যাত্রী পরিবহনের কাজ করেছে।
এ ধরনের বিমানগুলো যখন শব্দের গতিবেগকেও অতিক্রম করে উড়ে চলে, তখন ভীষণ জোরে শব্দ হয়, যাকে বলে ‘সনিক বুম’। কনকর্ডের উড্ডয়ন বন্ধ করার পেছনে এটি ছিল প্রধান কারণ। অবশ্য এয়ারবাস কর্তৃপক্ষ তাদের নতুন বিমানে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।