মেলার আকর্ষণ স্মার্টবোর্ড
বিদ্যালয়ের ব্লাকবোর্ডের সমান একটি বোর্ড। এর ওপরই চলছে ব্যাঙের ব্যবচ্ছেদ। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ মেলার একটি স্টলের সামনে গিয়ে থমকে দাঁড়াতে হলো। শুধু ব্যাঙের ব্যবচ্ছেদই নয় ত্রিমাত্রিক হৃদপিণ্ডের গঠন, পাতার গঠন বর্ণনাসহ নানা বিষয় উপস্থাপন করা হচ্ছে স্মার্টবোর্ড ৪৮০ নামক একটি বিশালাকায় সাদা বোর্ডে।
স্মার্টবোর্ড ৪৮০ ল্যাপটের সঙ্গে যুক্ত। ল্যাপটপের চলা একটি পোগ্রাম থেকেই বোর্ডে লেখাজোকাসহ বিভিন্ন বিষয় একটি প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। বোর্ডটির পেছনের অংশটি পুরোটাই ইস্পাতের। স্পর্শ বোঝার প্রযুক্তির যুক্ত থাকায় হাতের আঙুল দিয়েই বোর্ডটিতে লেখা যায়। লেখা শেষে তা সরক্ষণ করার ব্যবস্থাও আছে।
বোর্ডটি চালানোর সফটওয়্যারের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো এর সুবিশাল তথ্যভাণ্ডার। স্মার্টবোর্ড ৪৮০ চালানোর জন্য কম্পিউটারে এক টেরাবাইট খালি স্থান প্রয়োজন হয়। এতে ইন্স্যটল করা সফটওয়্যারের মধ্যেই বিভিন্ন স্তরের শিক্ষা বিষয়ক তথ্য থাকে।
কানাডায় তৈরি স্মার্টবোর্ড ৪৮০ দেশে এনেছে রহিম আফরোজের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কোরনলেজ। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা ও চট্টগ্রাম নগরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের বেশ কয়েকটি স্কুলে এরই মধ্যে তাঁরা স্মার্টবোর্ড ৪৮০ দিয়েছে। দামের ব্যাপারটি আলোচনাসাপেক্ষ বলে জানান তাঁরা।
জুলং ইন্টার অ্যাকটিভ হোয়াইট বোর্ড নামে আরেকটি প্রযুক্তি এনেছে কোরনলেজ। স্মার্টবোর্ড ৪৮০ মতো হলেও এতে প্রয়োজন হয় না কোনো বোর্ড। চীনের তৈরি এই প্রযুক্তিতে কোনো দেয়াল বা সাদা পর্দাই বোর্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একটি উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। দামও পড়ে স্মার্টাবোর্ড ৪৮০ এর কম।
দুটি স্মার্টবোর্ডই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়াও, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা প্রদর্শনীতে ব্যবহার করা যাবে।