মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাংলাদেশের পাশে ফেসবুক
ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এখন মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলার জন্য সহজেই হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারেন। নতুন কিছু মানসিক স্বাস্থ্যসেবা চালু করার জন্য ফেসবুক চলতি মাসে বাংলাদেশি কয়েকটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জনসাধারণকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের লক্ষে ফেসবুকের যে চলমান প্রচেষ্টা, এটা তারই একটা অংশ।
এক বিজ্ঞপ্তিতে ফেসবুক জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে এখন থেকে ব্যবহারকারীরা সরাসরি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মনের বন্ধু এবং কান পেতে রই-এর মতো সংস্থার সহায়তা পেতে পারেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো আত্মহত্যা, হতাশা, উদ্বেগ এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যায় নিয়মিত কাউন্সেলিং সেবা প্রদান করে আসছে। ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার সমাধান করতে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করে আসছে। ফেসবুকের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ডসে আত্মহত্যা ও আত্মঘাতী কন্টেন্ট প্রতিরোধী নীতিমালা রয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তাদের কাজকে আরো কার্যকর করতে ফেসবুক এবার ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ ও ‘মনের বন্ধু’-এর মতো স্থানীয় অলাভজনক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে।
ফেসবুকের গ্লোবাল সেফটি পলিসির পরিচালক করুণা নেইন বলেন, ‘এই বছর করোনা মহামারি মানুষকে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপনের পাশাপাশি নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হতে বাধ্য করেছে। আমরা তাদের জানাতে চাই যে, তারা একা নয়; আমরা তাদের আশপাশের এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দিতে চাই; যারা তাদের কথা শুনবে এবং সহযোগিতা করতে পারবে।’
সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন এবং ডাব্লিউএইচওর মানসিক স্বাস্থ্য এবং অটিজম-বিষয়ক ডিরেক্টর জেনারেলের উপদেষ্টা সায়মা ওয়াজেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ফেসবুকের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ বিষয়ে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে সাধারণ মানুষের সহজে যোগাযোগ করতে পারা মানসিক স্বাস্থ্য নিশ্চিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ।’
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সবাইকে সহযোগিতা করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। নিজের ক্ষতিসাধণ মূলক ছবি যেন কেউ পোস্ট করতে না পারেন সে বিষয়ে ফেসবুক গত বছর কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কারণ এ ধরনের ছবি অন্যকে মনের অজান্তেই আত্মঘাতী আচরণ করতে উদ্বুদ্ধ করতে পারে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সাধারণ মানুষকে আরো সহজে যোগাযোগ করিয়ে দিতে কাজ করছে ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম।