নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম তিন ম্যাচে দারুণ খেলেছিল বাংলাদেশ। টানা জয়ে মূলপর্বে খেলার পথ সুগম হতে থাকে। সেখান থেকে শেষ দুটি ম্যাচে হার আবার শঙ্কায় ফেলে দেয়। নানা নাটকীয়তা আর উৎকন্ঠা শেষে মূলপর্বে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মূলপর্ব নিশ্চিত করার অন্যতম দুই কারিগর অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার সুপ্তা। দুই ব্যাটারের ধারাবাহিকতা দলকে এগিয়ে নিয়েছে। দুজনও জায়গা পেয়েছেন বাছাইপর্বের সেরা একাদশে। আইসিসি ঘোষিত সেরা একাদশে জ্যোতি ও সুপ্তার পর দ্বাদশ প্লেয়ার হিসেবে আছেন আরেক বাংলাদেশি রাবেয়া খাতুন।

উইকেটরক্ষক হিসেবে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি। দু’টি হাফ-সেঞ্চুরি ও এক সেঞ্চুরিতে ২৪১ রান করেছেন তিনি। উইকেটের পেছনে ২টি ক্যাচ ও ৩টি স্টাম্পিংও করেছেন। ব্যাটিং অর্ডারের তিন নম্বরে রাখা হয়েছে শারমিনকে। তিন হাফসেঞ্চুরিতে আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৬ রান করেছেন তিনি।

টুর্নামেন্টের সেরা একাদশে সর্বোচ্চ চারজন পাকিস্তানের, তিনজন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ও দুইজন করে বাংলাদেশ ও স্কটল্যান্ডের ক্রিকেটার আছেন। অধিনায়ক করা হয়েছে পাকিস্তানের ফাতিমা সানাকে।

নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের একাদশ :

হিলি ম্যাথুজ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), মুনিবা আলি (পাকিস্তান), শারমিন আকতার (বাংলাদেশ), ক্যাথরিন ব্রাইস (স্কটল্যান্ড), নিগার সুলতানা (বাংলাদেশ, উইকেটরক্ষক), ফাতিমা সানা (পাকিস্তান, অধিনায়ক), চিনেল হেনরি (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), আলিয়া অ্যালাইন (ওয়েস্ট ইন্ডিজ), ক্যাথরিন ফ্রেজার (স্কটল্যান্ড), নাস্রা সান্ধু (পাকিস্তান), সাদিয়া ইকবাল (পাকিস্তান)।

দ্বাদশ ক্রিকেটার : রাবেয়া খান (বাংলাদেশ)