হারে ইমার্জিং এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের
ইমার্জিং এশিয়া কাপের দল উদীয়মান ক্রিকেটারদের নিয়ে গড়া হলেও বিশ্বকাপকে সামনে রেখে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের দলে নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশও। তবে সৌম্য-নাঈমদের নিয়ে দল গড়লেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে ৪৮ রানে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) কলম্বোর সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাব গ্রাউন্ডে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ৩৪৯ রান করে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৮.৩ ওভারে ৩০১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
৩৫০ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও তানজিম হাসানের ওপেনিং জুটিতে আসে ৬৯ রান। তবে দলীয় ৬৯ রানে নাঈমের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। ৩৯ বলে ৫১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন নাঈম। অবশ্য তার বিদায়ের পর টিকতে পারেনি আরেক ওপেনার তানজিম।
দলীয় ৭৩ রানের সময় ২৫ বলে ব্যক্তিগত ২২ রান করে ফেরেন তানজিম। তার বিদায়ের পর ফের বড় জুটি গড়েন দুই ব্যাটার জাকির হাসান ও সাইফ হাসান। তবে ফের জুটি গড়েও দলকে সুবিধাজনক অবস্থানে নিতে পারেনি তারা। দলীয় ১৫২ রানের মাথায় জাকির হাসানের বিদায়ে ফের ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপর দশ রানের ব্যবধানে ফেরেন সেট ব্যাটার সাইফ। ৪৬ বলে ৫৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
যখনই কোনো জুটি হয়েছে, সেই জুটি ভাঙলে তার পার্টনার কিংবা নতুন ব্যাটার ফিরেছেন। ফলে চাপ উতরে উঠতে না উঠতেই ফের চাপে পড়েছে দলটি। এরপর মাহমুদুল হাসান জয়ের সঙ্গে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালান সৌম্য সরকার। কিন্তু দলীয় ১৯১ রানে জোড়া ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। জয় আউট হওয়ার ঠিক পরের বলেই ফিরে যান আকবর আলীও।
জোড়া ধাক্কার পর শেখ মেহেদী হাসানের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটিতে সে চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করেন সৌম্য। কিন্তু ফের ১০ রানের ব্যবধানে ফিরে যান এ দুই সেট ব্যাটার। এরপর রিপন মণ্ডলকে নিয়ে রাকিবুল হাসানের লড়াই। নবম উইকেটে তাদের জুটিতে আসে ৫২ রান। কিন্তু রাকিব আউট হওয়ার এক বল পড়েই শেষ মুশফিক হাসান। ফলে হারতেই হয় বাংলাদেশকে।
এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে শ্রীলঙ্কা। মূলত এক প্রান্ত আগলে রেখে লঙ্কানদের ইনিংসের ভিত গড়ে দেন আভিস্কা। লাসিথ ক্রুসপুল্লের সঙ্গে গড়েন ৫১ রানের ওপেনিং জুটি। এ লাসিথের বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে উইকেটরক্ষক ব্যাটার মিনদ ভানুকার সঙ্গে ১২৫ রানের আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন এই ওপেনার।
এরপর অবশ্য ৬ রানের ব্যবধানে ২টি উইকেট তুলে ম্যাচে ফিরেছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেটে পাসিন্দু সুরিয়াবান্দারার সঙ্গে আভিস্কার ৭৫ রানের আরও একটি জুটিতে বড় পুঁজির ভিত পেয়ে যায় লঙ্কানরা। সেই ভিতে ইমারত তৈরি করেন আসেন বান্দারার ও অধিনায়ক দুনিথ ওয়ালালাগে। ষষ্ঠ উইকেটে ৬২ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটার। তাতে সাড়ে তিনশ ছুঁইছুঁই স্কোর পায় স্বাগতিক দলটি।
লঙ্কানদের পক্ষে সেঞ্চুরি তুলে সর্বোচ্চ ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন আভিস্কা। ১২৪ বলে ১৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান এই ওপেনার। ৫৫ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৭ রান করেন ভানুকা। বাংলাদেশের পক্ষে ৫২ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান সৌম্য সরকার। ৭২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট পান রিপন মণ্ডলও।