জাতিসংঘে ফিরছেন মারিয়া শারাপোভা
ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে বেশ বিপাকেই পড়েছিলেন মারিয়া শারাপোভা। নিষিদ্ধ হয়েছিলেন আন্তর্জাতিক টেনিস থেকে। অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূতের দায়িত্ব থেকে। তবে ধীরে ধীরে সুদিন ফিরতে শুরু করেছে লাস্যময়ী এই টেনিস তারকার। গত মাসে লাস ভেগাসে খেলেছেন একটি প্রদর্শনী ম্যাচ। আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরে এলেই আবার তাঁকে শুভেচ্ছাদূতের আসনে বসিয়ে দেবে জাতিসংঘ।
নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলডোনিয়াম নেওয়ার অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারাপোভা। গত অক্টোবরে সেই শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে আনা হয়েছে ১৫ মাসে। অর্থাৎ আগামী এপ্রিলেই প্রতিযোগিতামূলক টেনিসে ফিরতে পারবেন পাঁচটি গ্র্যান্ড স্লামজয়ী এই তারকা। একই সঙ্গে ফিরে পাবেন জাতিসংঘের শুভেচ্ছাদূতের সম্মানজনক পদটিও।
গত মার্চ মাসে শারাপোভাকে শুভেচ্ছাদূতের এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল জাতিসংঘ। যার ফলে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির সঙ্গে দীর্ঘ নয় বছরের সখ্যতায় ছেদ পড়ে। তবে শারাপোভাকে আবার ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের এক মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, ‘মারিয়া শারাপোভা শিগগিরই তাঁর প্রিয় খেলায় ফিরছেন আর ২০১৭ সালের এপ্রিলে তাঁর ওপর নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আমরাও তাঁকে পুনরায় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেব। আমরা বুঝতে পারছি যে, শারাপোভাও তাঁর টেনিস ক্যারিয়ারের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আমরাও একটি সঠিক সময়ের প্রতীক্ষায় আছি যখন তাঁকে দায়িত্বটি বুঝিয়ে দিয়ে পুনরায় তাঁর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।’
নিষিদ্ধ ড্রাগ মেলডোনিয়াম নেওয়ার অপরাধে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন শারাপোভা। গত মাসেই এই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ১৫ মাস করা হয়। ২৯ বছর বয়সী এই তারকা টানা ১০ বছর মেলডোনিয়াম ব্যবহার করেছেন হৃদরোগ এবং অপুষ্টিজনিত সমস্যা থেকে আরোগ্য লাভের জন্য।
জাতিসংঘের সঙ্গে শারাপোভা কাজ শুরু করেছিলেন ১৯৮৬ সালের চেরনোবিল দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের সহায়তা করার মধ্য দিয়ে। চেরনোবিল পারমাণবিক দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো তরুণদের একটি প্রকল্পে এক লাখ ডলার অনুদান দিয়েছিলেন শারাপোভা। তাঁর পরিবার চেরনোবিল দুর্ঘটনার পরে ১৯৮৭ সালে বেলারুশের গোমেল শহর ছেড়ে সাইবেরিয়ায় পাড়ি জমায় এবং সেখানেই জন্ম হয় এ সময়ের অন্যতম সেরা এই টেনিস খেলোয়াড়ের।