সাকিব ব্যর্থ, ব্যর্থ কলকাতাও
বোলিংয়ে ভালো করতে পারেননি। জ্বলে উঠতে পারেননি ব্যাট হাতেও। সাকিব আল হাসানের ব্যর্থতার দিন তাঁর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সও ব্যর্থ। শনিবার কলকাতাকে ৯ রানে হারিয়ে আইপিএলের শেষ চার নিশ্চিত করেছে রাজস্থান রয়্যালস।
হেরে যাওয়ায় গতবারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতার সামনে বিদায়ের আশঙ্কা। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ খেলে ফেলা কলকাতার ১৫ পয়েন্ট। চেন্নাই সুপার কিংস (১৮ পয়েন্ট) ও রাজস্থান রয়্যালস (১৬ পয়েন্ট) শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে এরই মধ্যে। রোববার লিগ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের একটিতে মুখোমুখি হবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (১৫ পয়েন্ট) ও দিল্লি ডেয়ারডেভিলস (১০ পয়েন্ট)। অন্য ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (১৪ পয়েন্ট) প্রতিপক্ষ সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (১৪ পয়েন্ট)। এ দুই ম্যাচের ওপরেই নির্ভর করছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ভাগ্য।
মুম্বাইয়ের ব্রেবোর্ন স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করেননি স্টিভেন স্মিথ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করে রাজস্থানকে মাত্র ৪২ বলে ৮০ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন শেন ওয়াটসন ও অজিঙ্কা রাহানে। সাকিবের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হওয়ার আগে রাহানে করেন ২২ বলে ৩৭ রান।
রাহানের বিদায়ের পর অন্য প্রান্ত থেকে তেমন সাহায্য পাননি ওয়াটসন। তবে তাতে রাজস্থানের বড় সংগ্রহ গড়তে সমস্যা হয়নি। ৫৯ বলে ১০৪ রানে অপরাজিত ওয়াটসনের অসাধারণ ইনিংসটা সাজানো ছিল ৯টি চার ও ৫টি ছক্কায়।
ওয়াটসনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের জন্যই রাজস্থান পেয়ে গেছে ৬ উইকেটে ১৯৯ রানের ভালো পুঁজি।
৩২ রানে তিন উইকেট নিয়ে কলকাতার সেরা বোলার আন্দ্রে রাসেল। চার ওভার বল করে ৩৬ রান খরচ করলেও কোনো উইকেট পাননি সাকিব।
২০০ রান, অর্থাৎ ওভারপ্রতি ১০ রান করার কঠিন লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই অধিনায়ক গৌতম গম্ভীরকে হারিয়ে ফেলে কলকাতা। তবে ইউসুফ পাঠান (৩৫ বলে ৪৪) ও আন্দ্রে রাসেলের (২০ বলে ৩৭) আক্রমণাত্মক ব্যাটিং লড়াইয়ে রেখেছিল তাদের। অবশ্য রাজস্থান বোলারদের ‘উদারতা’ও ভালোই সাহায্য করছিল সাকিবের দলকে। অতিরিক্ত থেকে আসা ২৬ রানেই তা পরিষ্কার।
শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৬ রান, হাতে দুই উইকেট। জেমস ফকনারের করা ১৯তম ওভারে তিনটি চার ও একটি ছক্কায় ২০ রান তুলে নেন উমেশ যাদব। তাই শেষ ওভারে প্রয়োজনীয়তা দাঁড়ায় ১৬ রানের। ক্রিস মরিসের করা প্রথম বলেই তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন সাকিব। ১১ বলে দুটি চারসহ বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের অবদান ১৩ রান। এর পর যাদব (১১ বলে অপরাজিত ২৪) অনেক চেষ্টা করলেও ৯ উইকেটে ১৯০ রানে থেমে যায় কলকাতার ইনিংস।
সে জন্য সবচেয়ে বেশি কৃতিত্ব প্রাপ্য ২৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়া মরিসের। তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে দলকে শেষ চারে নিয়ে যেতে ভালো অবদান রেখেছেন ধাওয়াল কুলকার্নি (২/৩৬) ও ওয়াটসন (২/৩৮)।
দুর্দান্ত শতকের পর বল হাতেও জ্বলে ওঠা ওয়াটসনই যে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়, তা বলাই বাহুল্য।