‘রহস্যময়’ রোগের সঙ্গে বার্তোলির লড়াই
কয়েক দিন আগের কথা। টেনিসের সবচেয়ে মর্যাদার প্রতিযোগিতা উইম্বলডন চলছিল তখন। সাবেক চ্যাম্পিয়ন মারিয়ন বার্তোলি এবার অংশ না নেওয়ায় তাঁকে খেলা দেখার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল উইম্বলডন কর্তৃপক্ষ। বার্তোলিকে সেখানে দেখে সবাই হতবাক। আগের সেই মিষ্টি মেয়েটির এমন অস্থিচর্মসার চেহারা দেখলে হতভম্ভ হওয়ারই কথা অবশ্য!
সেই সময় বার্তোলি জানিয়েছিলেন, তিনি এক ‘রহস্যময়’ রোগে আক্রান্ত। এ বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন ফ্রান্সের টেনিস তারকা। তখনই নাকি রোগটা বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে। এমনই মারাত্মক রোগ যে কিছুই খেতে পারতেন না বার্তোলি। ২০ কেজি ওজন হারিয়ে দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল তাঁর জীবনটা।
শুরুতে তো ডাক্তাররা ধরতেই পারছিলেন না রোগটা। কিছুদিন যাওয়ার পর চিকিৎসা শুরু হলে উন্নতি হয় অবস্থার। ফরাসি রেডিও আরটিএলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্তোলি জানিয়েছেন, ‘আমি এক ধরনের সংক্রামক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ইতালির মেরানো আর ফ্রান্সের প্যারিসে সমন্বয় করে আমার চিকিৎসা চলছিল। শেষ পর্যন্ত রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয় আমার শরীর। ডাক্তাররা রোগটা ধরতে পেরে চিকিৎসা শুরু করেন।’
সেসব কষ্টের দিন আজো যেন তাড়া করে বেড়ায় ২০১৩ সালের উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন বার্তোলিকে, ‘আমাকে প্রতিদিন স্যালাইন দেওয়া হতো, এক ধরনের টিউবের সাহায্যে খাওয়ানো হতো। ভীষণ কঠিন ছিল লড়াইটা। রীতিমতো নরকের ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল আমাকে।’
সুখের কথা, অন্ধকারাচ্ছ্ন্ন দিনগুলো থেকে বেরিয়ে আসা বার্তোলির সামনে আজ আলোর ভুবনের হাতছানি। ক্রমেই সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি, ‘আমি ধীরে ধীরে সেরে উঠছি। বলা যায় আরোগ্যের সঠিক পথেই আছি আমি।’
তবে সেরে ওঠার পর টেনিস কোর্টে ফেরার ইচ্ছে নেই বার্তোলির। ফ্যাশন ডিজাইনার আর টেনিস বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার ইচ্ছে তাঁর।