পাকিস্তানি ক্রিকেট অঙ্গনে মাতম!
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাকিস্তানের দুর্দশা চলছিল অনেক দিন ধরেই। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুটি সিরিজ হেরে এশিয়া কাপে পা রেখেছিলেন আফ্রিদিরা। সদ্য ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা শেষ করে এশিয়া কাপে অংশ নেওয়ায় পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে থাকবে, এমন মন্তব্য করেছিলেন অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান যেভাবে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ল, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের রীতিমতো ধুয়ে দিয়েছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ, রশিদ লতিফ, সরফরাজ নেওয়াজের মতো কিংবদন্তিরা।
চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হার দিয়ে শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি মিশন। দ্বিতীয় ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে জিতলেও ভালোই কষ্ট করতে হয়েছিল পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের। আর তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ উইকেটে হারের পর নিশ্চিত হয়ে গেছে পাকিস্তানের বিদায়। বল হাতে ভালো নৈপুণ্য দেখালেও প্রতিটি ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। দেশটির ব্যাটিং কিংবদন্তি মিয়াঁদাদ বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে এত বাজে ব্যাটিং আমি আর দেখিনি।’ অধিনায়ক আফ্রিদিরও ব্যাপক সমালোচনা করেছেন মিয়াঁদাদ।
একই রকমের মন্তব্য এসেছে পাকিস্তানের সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান ইউসুফ ইয়োহানার কাছ থেকেও। দলের স্বার্থে আফ্রিদির দ্রুত সরে দাঁড়ানো উচিত বলে মনে করছেন ইউসুফ, ‘আফ্রিদি অধিনায়ক হিসেবে চরম চাপের মধ্যে আছেন। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হলেও তিনি সেই অনুযায়ী খেলতে পারছেন না।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরও অবসরে যাবেন কি না, তা নতুনভাবে ভাবছেন বলে জানিয়েছিলেন আফ্রিদি। কিন্তু পাকিস্তানের এশিয়া কাপ ব্যর্থতার পর সেই ভাবনাও আবার নতুন করে ভাবতে হতে পারে ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। অধিনায়ক হিসেবে নিজে ভালো না খেলে আফ্রিদি কীভাবে অন্য খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন সেই প্রশ্ন রেখেছেন সরফরাজ, ‘আমরা দলের খারাপ পারফরম্যান্স নিয়ে অনেক অজুহাত শুনেছি। কিন্তু একজন অধিনায়ক যেখানে ভালো খেলতে পারছেন না সেখানে তিনি কীভাবে অন্য খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলেন?’
এশিয়া কাপে আফ্রিদিদের এই হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পর সতর্কঘণ্টাই বেজেছে পাকিস্তান ক্রিকেট অঙ্গনে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতার আগ দিয়ে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে গেছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা।