পাকিস্তানকে উড়িয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ
২০১২ সালে প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে উত্তেজনাপূর্ণ সেই ম্যাচটা মাত্র ২ রানে হেরে শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি লাল-সবুজের দল। এবার এশিয়া কাপের অঘোষিত সেমিফাইনালে সেই পাকিস্তানকেই ৫ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠেছে মাশরাফি বাহিনী। ১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৫ বল হাতে রেখেই জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ।
৪৮ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জয়ের পথে অনেকখানি এগিয়ে দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। শেষপর্যায়ে ১৫ বলে ২২ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। মোহাম্মদ আমিরের বলে টানা দুইটি চার মেরে বাংলাদেশের জয়ে বড় অবদান রেখেছেন অধিনায়ক মাশরাফিও।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুটাও করেছিল আগ্রাসী ভঙ্গিতে। মোহাম্মদ আমিরের বলে দারুণ এক ছয় মেরে লম্বা ইনিংস খেলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। শেষপর্যন্ত অবশ্য খুব বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে পারেননি এই বাঁহাতি ওপেনার। আউট হয়ে গেছেন ৭ রান করে। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৩ রানের জুটি গড়ে ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার ও সাব্বির। নবম ওভারে সাব্বিরকে বোল্ড করেছেন আফ্রিদি। ১৪ রান করে ফিরেছেন সাব্বির। তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে আবার ৩৭ রানের জুটি গড়েছিলেন সৌম্য।
১৪তম ওভারে দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে দারুণ এক ডেভিভারিতে সৌম্যকে বোল্ড করেছেন আমির। ৪৮ রান করে ফিরেছেন সৌম্য। পরের ওভারে মুশফিকও ১২ রান করে আউট হয়ে গেলে কিছুটা চাপের মুখেই পড়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮তম ওভারে আমিরের দারুণ ইয়র্কারে সাকিবও বোল্ড হয়ে গেলে পেন্ডুলামের মতো দুলতে থাকে ম্যাচের ভাগ্য। কিন্তু জয়ের এত কাছে এসে আর আক্ষেপ করতে চাননি মাহমুদউল্লাহ ও মাশরাফি। ষষ্ঠ উইকেটে ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। এই ২৭ রান তাঁরা করেছেন মাত্র ১১ বল খেলে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে স্কোরবোর্ডে ১২৯ রান জমা করতে পেরেছে পাকিস্তান। ৩০ বলে ৪১ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছেন শোয়েব মালিক। ৪২ বলে ৫৮ রান করে অপরাজিত ছিলেন সরফরাজ আহমেদ।
বাংলাদেশের পক্ষে দারুণ বোলিং করে তিনটি উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন হোসেন। দুইটি উইকেট গেছে আরাফাত সানির ঝুলিতে। ৪ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট নিয়েছেন তাসকিন আহমেদ।