২০১৪ সালে লাসিথ মালিঙ্গার নেতৃত্বেই এশিয়া কাপ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা। এবার শিরোপা ধরে রাখার মিশনেও মালিঙ্গার হাতেই দেওয়া হয়েছিল নেতৃত্বের ভার। কিন্তু নেতৃত্ব তো দূরের কথা, ইনজুরির কারণে মাঠে নামাও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ডানহাতি এই পেসারের। বাংলাদেশের পর ভারতের বিপক্ষেও মালিঙ্গা মাঠে নামতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় কাটেনি।

অথচ এশিয়া কাপের শুরুটা দারুণভাবে করেছিলেন মালিঙ্গা। আরব আমিরাতের বিপক্ষে চার ওভার বল করে ২৬ রানের বিনিময়ে নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। কিন্তু এরপরই হাঁটুর ইনজুরির কবলে পড়েছেন ডানহাতি এই পেসার। বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও শেষপর্যন্ত মাঠে নামতে পারেননি মালিঙ্গা। শ্রীলঙ্কা খেলেছিল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের নেতৃত্বে। ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও হয়তো দুর্ধর্ষ এই পেসারকে মাঠে পাবে না লঙ্কানরা। বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের পর ম্যাথিউস বলেছিলেন, ‘লাসিথ পরবর্তী দুইটা ম্যাচেও খেলতে পারবে কি না, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত নই। তাঁর ইনজুরি আবার ফিরে এসেছে।’

ইনজুরিতে জর্জরিত হয়েছে ভারতীয় শিবিরও। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে মোহাম্মদ আমিরের দারুণ ডেলিভারিতে পায়ে আঘাত পেয়েছেন ভারতের ওপেনার রোহিত শর্মা। এশিয়া কাপের ম্যাচগুলো তো বটেই, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও অনিশ্চিত হয়ে গেছে দারুণ ফর্মে থাকা রোহিতের। ভারতের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এশিয়া কাপ শুরুই করেছিলেন পিঠের ব্যথা নিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও অনিশ্চয়তা ছিল ধোনিকে নিয়ে। শেষপর্যন্ত অবশ্য সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ঠিকই মাঠে নেমেছিলেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও হয়তো ব্যথা নিয়েই মাঠে নামবেন ধোনি।